মহেশপুর এক ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখলের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নস্তি গ্রামে হতদরিদ্র এক কৃষকের ১৬ শতক জমি দখল করে ইটভাটা তৈরী করছে কামাল হোসেন নামে এক প্রভাবশালী। তিনি কোন আইন কানুনের তোয়াক্কা করেন না। মানেন না জেলা প্রশাসনের কোন বিধি নিষেধ। মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী ভাটা নির্মানের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিলেও নিয়ম ভঙ্গ করে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন নির্মান কাজ। ফলে জনমেন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নস্তি গ্রামের অসহায় কৃষক আলী আকবার অভিযোগ করেন, তার শেষ সম্বল বলতে ওই ১৬ শতক জমি। সেটি ইটের ভাটায় দখল নিতে চান কামাল হোসেন। ইতোমধ্যে সেই জমিতে মাটি ফেলে দিয়েছেন। ধানের জমি ভাটায় দিতে না চাইলেও জোর করে দখল করছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, জমিটা তার প্রয়োজন, জোর করে হলেও নিতে হবে। ঘটনাটি ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলার নস্তি এলাকার। আলী আকবার নস্তি গ্রামের নবি সর্দ্দারের ছেলে। শুধু তার একার নয়, ভাটার পাশের আরো চাষযোগ্য ২০ একর জমির মালিকরা জমি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। আলী আকবার জানান, তাদের গ্রামের কামাল হোসেন নস্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১’শ গজের মধ্যে কয়েকজনের জমি বর্গা নিয়ে ‘শাকিল ভাটা’ নামে একটি ভাটা নির্মান করেন। গত তিন বছর এই ভাটা চালিয়েছেন। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। পাশাপাশি স্কুলের পাশে হওয়ায় অনেকের আপত্তিও ছিল। এ বছর জমির মালিকরা তাদের জমি ছেড়ে দিতে বললে কামাল হোসেন পূর্বের স্থান থেকে সামান্য পশ্চিমে সরে নতুন করে ভাটা নির্মানের কাজ শুরু করেছেন। পাশেই রয়েছে আলী আকবরের ১৬ শতক জমি। এই জমি থেকেই তার পরিবারের মানুষগুলোর মুখে খাবার জোটে। তিনি এই জমি দিতে না চাইলেও তাকে মারধর করতে উদ্যোত হয়। নস্তি গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর জানান, কামাল হোসেন ওই স্থানে ৮ বিঘা জমি কিনেছেন। সেখানে পুকুর ও মাটি রাখা হয়েছে ৪ বিঘা জমির উপর। আর ইট তৈরীর স্থান করেছেন ৪ বিঘা জমিতে। সাধারনত একটা ভাটা করতে গেলে ছোট হলেও কমপক্ষে ২৫ বিঘা জমির প্রয়োজন হয়। এখন ওই পরিমান জমি জোগাড় করতে কামাল অন্যদের চমি জোর করে দখল নিতে চাইছেন। ভাটা চালু হলে আশপাশের অন্তত ২০ বিঘা জমি অনাবাদী হয়ে পড়বে। কামাল হোসেন একটি হত্যা মামলায় কারাগারে থাকলেও থামেনি তার ভাটা নির্মানের কাজ। ভাটা ব্যবস্থাপক বজলুর রহমান জানান, ভাটা করার আগেই জমির মালিক আলী আকবারসহ অন্যদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তারা জমি দিতে চেয়ে এখন দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, যে স্থানে ভাটার চিমনি করা হয়েছে তাতে আলী আকবারের জমি কখনও ভালো থাকবে না। এই জন্য জমিটা দিতে বলেছেন। এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুনুল করিম জানান, তিনি এলাকার লোকজনের একটি লিখিত পেয়ে ভাটা নির্মানের কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরও কাজ চললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।