মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় দুবৃর্ত্তদের উপর ফাঁকা গুলি ছুড়ে পাচারের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করলো বিজিবি

Share Now..

\ স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ \
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় দুবৃর্ত্তদের উপর ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিজিবি সদস্যরা পাচারের শিকার এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। এ সময় বিজিবির তাটে আটত হয়েছে ৩ বাংলাদেশী মানবপাচারকারী দালাল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মহেশপুর সীমান্তের কুমিল্লাপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। বিজিবর হাতে আটক দালাল হলেন, মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ইলাহী মন্ডলের ছেলে আব্দুল মান্নান (৩১), একই গ্রামের আবু তালেব খলিফার ছেলে রুবেল (৩২) ও রেজাউল ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন (২৯)। বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সীমান্ত পিলার-৬০/৪৭ আর এর নিকটে ভারত থেকে ৭/৮ জনের একটি পাচারকারী দল আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। বিজিবি টহল দল তাদের সামনে যাওয়া মাত্রই কয়েকজন পাচারকারী ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। বিজিবি টহলদল তাদের ধাওয়া করে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ভাটারা গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে শিউলী খাতুনসহ ৪ জনকে আটক করে। এ সময় আটককৃতদের ছাড়িয়ে নিতে ৩/৪জন ভারতীয় দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিজিবি সদস্যদের উপর আক্রমন করতে উদ্যত হয়। এসময় বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে এক রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করলে ভারতীয় মানব পাচারকারী দালালরা ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। আটকৃত কিশোরী শিউলী খাতুন বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে জানায় সে পাচারের শিকার হয়েছিলো। বিজিবিকে সে আরা জানায়, ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে টিকটক ভিডিও করার নাম করে তাকে ভারতের কোলকাতায় পাঠায়। ভারতে অবস্থানকালে আরোও কয়েকজন বাংলাদেশি কিশোরীর সাথে শিউলী আক্তারের পরিচয় হয়। ভিডিও শুটিংয়ের এক পর্যায়ে শিউলী জানতে পারে যে, তাদের সবাইকেই থেকে মুম্বাই শহরে পাঠানো হবে। এতে সে ঘাবড়ে যায় এবং মুম্বাই যেতে অস্বীকৃতি জানায়। কোলকাতায় শিউলীকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। শিউলী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার অভিভাবকের সাথে ভারতীয় দালালেরা যোগাযোগ করে শিউলী আক্তারকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মোটা অংকের টাকা দাবী করে। অবশেষে ৪০ হাজার টাকা দিলে বৃহস্পতিবার শিউলীকে মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরৎ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় মামলার পক্রিয়া চলছে বলে বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *