মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে কোটচাঁদপুর জয়দিয়া বাঁওড়ের দুটি সরকারি গাড়ি
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি
কতৃপক্ষের উদাসীনতা মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে দুটি গাড়ি। গাড়ির ভেতর গজিয়ে উঠেছে গাছ আর বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ। শিশুরা গাড়ির অংশবিশেষ খুলে খাচ্ছে পাঁপড় ভাজা। যা দেখার কেউ নেই । এ চিত্র কোটচাঁদপুরের সরকারি জয়দিয়া বাঁওড়ের গার্ড অফিসের। ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাঁওড়ের ব্যবস্থাপক।
জয়দিয়া বাঁওড় এলাকার মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ৩০-৩৫ বছর ধরে গাড়িগুলো পড়ে আছে এভাবে। একটা জীপ আর একটা পিকাপ, জীপ টা চড়ে বেড়াতেন ১৯৯১ সালের বাঁওড় মেনেজার মোঃ নুরুল আফসার।১৯৮৬ সালের হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের আমলে দেওয়া হয়েছিল তিনটি গাড়ি। পিকাপে করে মাছ আনা নেওয়া করা হতো। আরেকটা পিকাপ পড়ে আছে বলুহর মাৎস্য হ্যাচারিতে অনেক সাহেব এল আর গেল। তবে গাড়ির ব্যবস্থা হলো না। বাচ্চারা গাড়ির টিন আর বিশেষ বিশেষ অংশ খুলে খেয়েছে বাদাম আর কটকটি ভাজা।’
অফিসের পাশের নিতাই হালদার বলেন, গাড়িগুলো ভালো থাকার সময় স্থানীয়রা সাহেবদের বলেছিলেন ব্যবস্থা নিতে। সে সময় ব্যাবস্তা নিলে এমন পরিস্থিতি হতো না। তিনি বলেন, এরপর যখন আরও খারাপ হয়ে গেল, তখন পিডি অফিসের লোকজন এসে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যায়। এখন আর কি করার।
পাশের মুদি দোকানি রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘এভাবে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে রোদে আর বৃষ্টিতে ভিজে গাড়ি দুটি নষ্ট হয়ে গেছে। এটা সরকারি গাড়ি না হয়ে পাবলিক গাড়ি হলে এভাবে নষ্ট হতো না। এখনো চলত।’
এ বিষয়ে জয়দিয়া বাঁওড়ের ব্যবস্থাপক আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমি গত অক্টোবর মাসে এ বাঁওড়ে যোগদান করেছি। এর আগে যারা ছিলেন, তারা কি করেছেন তা আমার জানা নেই। এ ছাড়া আগের ম্যানেজার আমাকে ওই গাড়ি বুঝিয়ে দিয়ে যাননি। আর এটা সম্পর্কে আমি জানিও না। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব। পিডি শ্রী নারায়ণ চন্দ্র দাসের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক নবচিত্র কে জানান , আমি দুই মাস আগে যোগদান করেছি গাড়ির বিষয় অবগত নয় তবে আপনার কাছ থেকে জানলাম। বাঁওড় কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয় টা দেখবো।