‘মাথা ঘুরে পড়ে না যায়’, গাজার শিশুদের খেলতে নিষেধ করছে অভিভাবকরা

Share Now..

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনের কারণে ৫০ হাজারের বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। এদের মধ্যে অনেক শিশুর জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসাও প্রয়োজন। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি গাজার পরিস্থিতিকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক খাদ্য ও পুষ্টি সংকটগুলোর মধ্যে একটি’ বলে বর্ণনা করেছে।

এমন অবস্থাতেও গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণ পৌঁছানোর বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এ নিয়ে আল-জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন গাজায় অক্সফামের নীতিনির্ধারণী প্রধান বুশরা খালিদী।তিনি গাজার শিশুদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, কিছু লোক তাদের বাচ্চাদের খেলতে নিষেধ করছে। কারণ শিশুরা যথেষ্ট খাওয়া-দাওয়া না করায় মাথা ঘুরে পড়ে যাবে।’ কল্পনা করুন, আপনার পাঁচ বছরের বাচ্চাকে খেলতে নিষেধ করা হচ্ছে…।’ চারপাশে এই সমস্ত মৃত্যু এবং ধ্বংসের মধ্যে কোয়াডকপ্টার এবং ড্রোনগুলো উপরে উড়ছে।’

গাজায় নিরাপদে ত্রাণ পৌঁছানো নিশ্চিত না করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বুশরা খালিদী। বলেন, দখলদার শক্তি ইসরায়েলের অধিকৃত ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা সক্রিয় রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সব ক্রসিং যেন উন্মুক্ত ও চলাচলের জন্য নিরাপদ হয় তা নিশ্চিত করা ইসরায়েলের দায়িত্ব।’ এই মুহূর্তে গাজায় চরম বিশৃঙ্খলা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৪ মাস ধরে অবিরাম বোমাবর্ষণ এবং পুরো জনগোষ্ঠীর অনাহারে।’ বেঁচে থাকার তাগিদে পরিবারগুলো আবর্জনার স্তূপ ও পাতা সেদ্ধ করার জন্য ছটফট করছে!’

তিনি আরও যোগ করেন, বাবা-মায়েরা দিনের পর দিন খাবার এড়িয়ে যাচ্ছেন, যাতে তাদের বাচ্চারা খেতে পারে।’

বুশরা খালিদী জোর দিয়ে বলেন, পুরো গাজা তীব্র অপুষ্টির মুখোমুখি এবং অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। দুর্ভিক্ষের পকেট রয়েছে এই অঞ্চল, বিশেষত উত্তরের অঞ্চলগুলো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *