মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারে দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৩

Share Now..

মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে বাবা ও ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের মধ্যেরচর এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। এরপর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য নিয়ে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগা‌ড়ি ইউনিয়‌ন পরিষদের চেয়ারম‌্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়া‌র্ডের (ইউপি) সদস‌্য আকতার শিকদা‌রের বি‌রোধ চ‌লে আস‌ছিল। এ নি‌য়ে বিগত সময়ে এলাকায় বেশ ক‌য়েক‌টি হত‌্যাকাণ্ড ও একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনার মামলায় দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া ছিল আকতার শিকদা‌রের প‌রিবার। গত বৃহস্পতিবার ভোরে আকতারের বসতঘরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর শুনে লোকজন নিয়ে শুক্রবার ভোরে এলাকায় আসেন ইউপি সদস্য ও তার ছেলে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আকতারের ওপর হামলা চালায়। বেশ কয়েকটি হাতবোমা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আকতার শিকদার ও তার ছেলে মারুফ শিকদার ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও ছয়জন। এদের মধ্যে সিরাজ চৌকিদার নামে একজনকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান।
 
আকতার শিকদারের বাবা মতিন শিকদার বলেন, ‘আমার ছেলে ও নাতিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে চেয়ারম্যান সুমন ও তার লোকজন। এই ঘটনায় আমাদের আরও এক কর্মী মারা গেছে। সুমন ও তার লোকজনের কঠিন বিচার চাই।’
 
অভিযোগ অস্বীকার করে কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, ‘আমি ঢাকায়। শুনেছি এলাকায় অন্য দুটি পক্ষ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমিও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার চাই।’
 
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘এলাকায় বিপুল পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে। পুলিশের একাধিক টিম অপরাধীদের ধরতে কাজ করছে।’
 
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু আলামত পাওয়া গেছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে, নাম সংগ্রহ করছে একাধিক টিম। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *