মার্কিন ট্যাংকার আটক করলো ইরান
সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপের অভিযানে সাগরে একটি ট্যাংকার থেকে ইরানের তেল জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক দিন পর তেহরান আরেকটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করে। সামুদ্রিক এক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।প্রতিবেদনে বলা হয়, তেলের বাজারে অস্থিরতার মধ্যে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার সর্বশেষ উদাহরণ কার্গো জব্দ। বছরের পর বছর ধরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।ইরান এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না, বিপরীতে তার তেল রফতানি দিন দিন বাড়ছে। তেহরান শুরু থেকেই বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ।
কিন্তু ওয়াশিংটন সন্দেহ করে, ইরান আসলে একটি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে চায়, যা এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের স্বার্থের জন্য হুমকি স্বরূপ। সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থা আম্ব্রে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ইরানি ট্যাংকারটি জব্দ করার অন্তত পাঁচ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানি তেল জব্দ করেছিল।
আম্ব্রে মনে করে, মার্কিন পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ইরানি নৌবাহিনী ট্যাংকারটি জব্দ করেছে। গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক পরামর্শ বার্তায় আম্ব্রে জানিয়েছে ‘দুটি ট্যাংকারই সুয়েজ খাল অতিক্রম করার জন্য যথেষ্ট বড়। তেহরান এর আগে ইরানের তেল কার্গো জব্দের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ওয়াশিংটন আদালতের আদেশ পাওয়ার পর মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সুয়েজ রাজন ট্যাংকারে থাকা তেল কার্গোর নিয়ন্ত্রণ নেয় বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে কিছু সূত্র। বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে সূত্রগুলো নাম প্রকাশে অস্বীকার করেছে।
বিভিন্ন ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ এপ্রিল আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্তে সর্বশেষ সুয়েজ রাজনকে দেখা গিয়েছিল। জাহাজটির গ্রিস ভিত্তিক ব্যবস্থাপক এম্পায়ার ন্যাভিগেশন ও মার্কিন বিচার বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওমান উপসাগরে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকাবাহী একটি ট্যাংকার আটক করেছে ইরান। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ইরানের একটি নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষের পর ট্যাংকারটি আট ঘণ্টা ধরে তেহরানের রেডিও বার্তা উপেক্ষা করে।
ইরানের সহকারী নৌ কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোস্তফা তাজোদিনি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমকে বলেছেন, ‘সংঘর্ষে নৌকার তিন ক্রু আহত হয়েছেন, তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। আমরা জোর করার আগে ট্যাংকারটিকে থামানোর জন্য ক্রমাগত বার্তা পাঠিয়েছি, কিন্তু তারা সহযোগিতা করেনি।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ওমান উপসাগরে ট্যাংকার আটকের বিষয়ে জানেন এবং সাগরের আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তার সমর্থন আবারো জানান।
Join the fight, claim your glory—play now! Lucky Cola
Gear up for an action-packed gaming experience! Lucky Cola