মালয়েশিয়ায় কেএফসির শতাধিক আউটলেট ‘সাময়িক বন্ধ’

Share Now..

কেএফসির ১০০টিরও বেশি আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হয়েছে মালয়েশিয়ায়। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আর্থিক চ্যালেঞ্জের কারণে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আর্থিক চ্যালেঞ্জের কারণে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খবর মিডলইস্ট ইয়ের

গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে ফিলিস্তিনের পক্ষে বয়কটের জেরে বিশ্বজুড়ে মার্কিন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে বলে দেশটির একাধিক গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।

চীনা মিডিয়া অনুসারে, ফাস্ট-ফুড ফ্র্যাঞ্চাইজি, কেএফসি-এর মালিক, তাদের মালয়েশিয়া জুড়ে ৬০০টি আউটলেটের মধ্যে ১০৮টি সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে

দেশটির কেলানতানে প্রায় ৮০ শতাংশ শাখা অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে জোহরে ১৫টি শাখা (সাময়িকভাবে বন্ধ), কেদাহ (১১), তেরেঙ্গানু (১০), পাহাং (১০), পেরাক (৯), নেগেরি সেম্বিলান (৬), পেরলিস (২), মেলাকা (২), পেনাং (৫), কুয়ালালামপুর (৩), সাবাহ (১) এবং সারাওয়াকে ২টি শাখার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

জানা গেছে, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই এবং কম্বোডিয়াতে ৮৫০টির বেশি কেএফসি চেইন ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করে কিউএসআর ব্র্যান্ডস। সেই সাথে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে ৫০০টিরও বেশি পিৎজা হাট রেস্টুরেন্ট চেইন পরিচালনা করে আসছে তারা। 

মালয়েশিয়া একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ-মুসলিম দেশ। ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর মতোই মালয়েশিয়াতেও বিভিন্ন পশ্চিমা ফাস্ট-ফুডের ব্র্যান্ড বয়কটের মুখে পড়েছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তীব্র প্রতিবাদে বিশ্বজুড়েই ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের মিত্র দেশ এবং দেশটিকে সমর্থন বা আর্থিক সহযোগিতা করা দেশগুলোর পণ্যও বয়কটের মুখে পড়ছে। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলকে আর্থিকভাবে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে কেএফসির বিরুদ্ধে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *