মায়ের মামলায় ছেলে ও পুত্রবধু কারাগারে ভরণপোষন না দেয়ার অভিযোগ

Share Now..


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ঝিনাইদহ প্রাইমারি টিসার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের ইন্সট্রাক্টর সাইফুল্লা ও তার স্ত্রী রুমা খাতুন। বুধবার মধ্যরাতে ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ তাদের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে। সাইফুল্লা ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া গোরস্থান সড়কের মৃত শহিদুল ইসলাম মুক্তি ও জহুরা খাতুন দম্পত্তির ছেলে। ভরণপোষন না দেওয়ার অভিযোগে সাইফল্লার মা জহুরা খাতুন থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, সাইফুল্লাহ তার মা জহুরা খাতুনের ভরণপোষণ দেয় না দীর্ঘদিন। কিছু বললে মারধর ও নির্যাতনের হুমকি দিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় মা জহুরা খাতুন গত ১৮ অক্টোবর ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযোগের বিষয়টি আদালতে পাঠালে আদালত মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে বুধবার থানায় মামলা হলে রাতে অভিযুক্ত ছেলে সাইফুল্লাহ ও তার স্ত্রী রুমা খাতুনকে গ্রেফতার করে। তবে মামলার বাদী জহুরা খাতুনের ভাই আমানুল্লাহ অভিযোগ করেন, তার ভাগ্নে ও পুত্রবধুর কোন দোষ নেই। তার বোন জহুরা খুবই খারাপ প্রকৃতির মহিলা। আচার ব্যাবহার রুঢ়। এর আগে তার ছোট ভাগ্নে সুমনকে সুস্থ সবল অবস্থায় পাগলাগারতে পাঠিয়েছিল। আমানুল্লাহ দাবী করেন, তার বোনের দুর্ব্যাবহারের কারণে তার ভাগ্নে সাইফুল্লাহ’র দুই দুটো স্ত্রী চলে গেছে। সংসারে তারা খুবই নির্যাতিত হচ্ছিল। সাইফুল্লাহর তৃতীয় স্ত্রী রুমা খাতুন আমার বোনের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে এখনো টিকে আছে। অথচ নির্দোষ ভাগ্নে ও তার স্ত্রীকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হলো। এদিকে গ্রেফতারকৃত সাইফুল্লাহর ছোট ভাই সুমন আহম্মেদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, “আমার মায়ের ইগো, জেদ ও অহংকার এতো বেশি যে বলার মতো না। আমাকে পাগলাগারদে রেখেছিল। আজ আমার ভাইকে জেলে পাঠালো। মা আপনি তো বৃদ্ধ হবেন। তখন তো আমরা দুই ভাই আপনাকে দেখবো। আপনি আমার ভাইকে মুক্ত করে আনুন”।

One thought on “মায়ের মামলায় ছেলে ও পুত্রবধু কারাগারে ভরণপোষন না দেয়ার অভিযোগ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *