মিমো কেন বাদ কেউ জানেন না

Share Now..

জাতীয় হকি দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় পুস্কার খিসা মিমোকে এশিয়ান গেমস হকি বাছাই এবং এশিয়া কাপ হকির জন্য চূড়ান্ত দলে রাখা হয়নি। ১৮ জনের তালিকায় মিমো নেই। তিনি আছেন ২০ জনের মধ্যে। ১ জনের পর ১৯ নম্বরে মিমো এবং ২০ নম্বরে নাহিয়ান বিন শুভ। এই জন স্ট্যান্ডবাই হিসেবে থাকবেন।

অথচ মিমো হচ্ছে জাতীয় দলের সেরা একাদশের খেলোয়াড়। ৬-১৫ মে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এশিয়ান গেমস হকির বাছাই এবং এক সপ্তাহ পর ২৩ মে থেকে ১ জুন ইন্দোনেশিয়ায় এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল। এশিয়ান গেমসের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে হলে বাছাইয়ের পার হতে হবে। আর এশিয়া কাপ হকির আসর তো আরো বড় মঞ্চ। এশিয়ার সেরা মঞ্চ। অথচ এই দুটি টুর্নামেন্টে মিমোকে নেওয়া হয়নি। তাকে কে বাদ দিল এটা কেউ বলতে পারছে না। সিলেকশন কমিটি কোচ গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তিকে দেখিয়ে দিচ্ছেন। আর কোচ জানিয়েছেন তিনি করেননি। তাহলে মিমোকে বাদ দিল কে। কেউ দায়িত্ব নিচ্ছেন না।
ইন্দোনেশিয়ায় এএইচএফ কাপ হকিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মিমোর অবদানের কথা ভোলা যায় না। ফাইনালে টাইব্রেকারে শেষ গোলটির জন্য প্রার্থনা ছিল যেন মিস না হয়। গোল হলেই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে। মিমো শেষ হিট করতে গিয়ে গোল করলেন, বাংলাদেশকে এএইচএফ কাপে চ্যাম্পিয়নের আনন্দে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। অথচ ঢাকায় ফিরেই মিমো বাদ। কী কারণে বাদ দেওয়া হলো সিলেকশন কামটির চেয়ারম্যান সাজিদ আদেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোচ গোবিনাথনকে দেখিয়ে দেন। তার কাছে প্রশ্ন করতে বললেন। আর গোবিনাথকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, ‘মিমো আছে। ২০ জনে আছে।’ প্রশ্ন ছিল মিমো বিমানে উঠবেন কি না। কোচ বললেন,‘না উঠবে না। সে ২০ জনে রয়েছে।’ বিমানে উঠবে না তাহলে ২০ জনে থেকে লাভ কী? কোচ বললেন, ‘মিমো আছে সে বাদ পড়েনি।’ আবার প্রশ্ন করা হলো আপনার সঙ্গে (কোচ) কত জন খেলোয়াড় বিমানে উঠবেন? কোচ বললেন, ‘১৮ জন’। তাহলে তো মিমো যাচ্ছেন না। কারণ মিমো ১৯ নম্বরে। তখন কোচ বললেন, ‘তুমি কি কোচিং শেখাবা। কোচ হতে চাও?’ প্রশ্ন উঠল—মিমো ইন্দোনেশিয়ায় এএইচএফ কাপে ভালো খেলেছে কি না? কোচ বললেন, ‘গুড’। ভালো খেলে থাকলে তাকে বাদ দেওয়া হলো কেন? কোচ বললেন, ‘বাদ দেওয়া হয়নি। সেই ২০ জনের তালিকায় আছে।’ ইন্দোনেশিয়ায় খেলেননি ইমন তাকে নেওয়া হয়েছে? কোচ বললেন,‘না ও (ইমন) খেলেনি। তুমি আমাকে প্রশ্ন করছ না। আমি কোচ। আমি টিম সিলেকশন করি না। তুমি সিলেকশন কমিটিকে জিজ্ঞাসা কর। সিলেকশন কমিটি আছে কেন।’হকি ফেডারেশন সূত্রের খবর হচ্ছে—মিমো ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন, এক দিন দেরিতে ক্যাম্পে যোগ দেওয়ায় কপাল পুড়িয়েছেন কোচ। যদিও কোচ তাকে অনুশীলনে রেখে ছিলেন কিন্তু ১৮ জনের তালিকায় রাখা হয়নি। পুস্কার খিসা মিমো এখনো বিকেএসপিতে অনুশীলন ক্যাম্পে রয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ায় ইমন না খেলে জাতীয় দলে। আরো দুই জন রয়েছে ভালো পারফরম্যান্স করেননি। তারাও আছেন। এমনকি পাসপোর্ট জটিলতায় ঢাকায় এশিয়ান হকি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে না পারা রকি ইন্দোনেশিয়ায় এএইচএফ কাপের স্কোয়াডে ছিলেন না। তারপরও রকি চূড়ান্ত দলে ঢুকেছেন। হকি অঙ্গনে গুঞ্জন পছন্দের খেলোয়াড়দের রাখতে গিয়ে অভিজ্ঞ মিমোকে বাদ দিতে হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *