মিরাজুলের বিশ্বাস হচ্ছে না মোহামেডানে ডাক পেয়েছেন
বয়স মাত্র ১৫ পার হলো। এই বয়সে মোহামেডানের মতো এতো দলে খেলার সুযোগ পাবেন সেটি নিজেও কল্পনা করতে পারেননি মিরাজুল ইসলাম। বাফুফের এলিট একাডেমীর এই খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগের ফিরতি পর্বে মোহামেডানের জার্সি গায়ে খেলবেন। একাডেমি হতে এই ফুটবলারকে নিতে ১০ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে মোহামেডানকে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানিয়েছেন, এবারই প্রথম তারা টাকায় খেলোয়াড় দিচ্ছেন। একাডেমি করার সুফল এটি।
মোহামেডান প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না সেটি ক্লাব কর্মকর্তারাও জানেন। টিম লিডার আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স জানিয়েছেন, চেষ্টা করবেন রানার্সআপ হওয়ার। লিগের ফিরতি পর্বের জন্য একাধিক ফুটবলার নিচ্ছে মোহামেডান। বসুন্ধরা কিংস হতে এলিটা কিংসলে, ইংল্যান্ড হতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন ফুটবলার কাজী নাবিল এবং বাফুফের এলিট একাডেমির মিরাজুল ইসলামকে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন প্রিন্স।
লিগের ফিরতি পর্বে মোহামেডান ১১ ম্যাচ খেলবে। মিরাজুল ১১ ম্যাচে নামতে পারবেন কি না তার নিশ্চিয়তা নেই। তবে এই ফুটবলারকে নিতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা দিতে হচ্ছে। যার মানে ম্যাচ প্রতি প্রায় লাখ টাকা গুনতে হবে।
বরিশালের ঝালকাঠির সিটি পার্কে মিরাজুল ইসলামের বাড়ি। বাবা খলিলুর রহমান, মা হেনারা বেগম। তাদের তিন সন্তান। মিরাজুল বিকেএসপির শিক্ষার্থী। বাফুফে যখন খেলোয়াড় বাছাই করে তখন মিরাজুল সুযোগ পান এখানে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে বাফুফের এলিট একাডেমি। মিরাজুল স্ট্রাইকার পজিশনের ফুটবলার। তার প্রিয় খেলোয়াড় তিন জন। নেইমার, মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। মিরাজুল এখন ক্যাম্পে। কথা হয় তার সঙ্গে।
৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফুটবলার মিরাজুল ইসলাম বলছিলেন, ‘আমি জানতাম না মোহামেডান আমাকে নিতে চায়। পাপ্পু স্যার (কোচ) আমাকে জানিয়েছেন। ভাবতেই পারিনি এই বয়সে এত বড় দলে খেলার ডাক পাবো।’ পাপ্পু জানালেন, ‘বিভিন্ন জেলায় বাছাই করে খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য হচ্ছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দল গঠন করা। ৫০ জন নেওয়া হলেও এখন ৩৩ জন ফুটবলার রয়েছেন ক্যাম্পে। এর মধ্যে তিন জন অনূর্ধ্ব-২০ বছর বয়সের।