মিলানের হয়ে খেলতে চান এমবাপে

Share Now..

এফএনএস স্পোর্টস: রেয়াল মাদ্রিদের প্রতি কিলিয়ান এমবাপের অনুরাগের কথা প্রায় সবারই জানা। ইউরোপের সফলতম ক্লাবটিতে তার যোগ দেওয়া বলতে গেলে ¯্রফে সময়ের ব্যাপার। তবে আরও একটি স্বপ্নের কথা শোনালেন বিশ্বকাপ জয়ী ফরাসি তারকা। ভবিষ্যতে কখনও ইতালির ঐতিহ্যবাহী ক্লাব এসি মিলানের হয়ে খেলতে চান তিনি। প্যারিসে ছোটবেলায় মিলানের জন্য গলা ফাটাতেন এমবাপে। ক্লাবটির প্রতি তার সেই ভালোলাগা এখনও রয়ে গেছে। মঙ্গলবার স্কাই ইতালিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় সেটিই তুলে ধরলেন তিনি। “কেউ জানে না (ভবিষ্যতে) কী ঘটতে পারে। যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন মিলানের ভক্ত ছিলাম। আমি সবসময় বলতাম, যদি কোনোদিন ইতালিতে যাই, আমি মিলানের হয়ে খেলব। আমি সবসময় ইটালিয়ান লিগ, মিলানের প্রতিটি ম্যাচ দেখি।” “আমি প্যারিসে (পিএসজি) ছিলাম। এখন একটি নতুন ক্লাবে যাচ্ছি। এখন আমার যা কিছু আছে, তাতে আমি সত্যিই খুশি।” ফরাসি কাপের ফাইনাল দিয়ে গত শনিবার পিএসজির হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেন এমবাপে। লিঁওর বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে আরেকটি ট্রফি জিতেই শেষটা রাঙান ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। পিএসজিতে সাত বছরে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছেন এমবাপে। ক্লাবটির সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। দলটির জার্সিতে ঘরোয়া সব শিরোপাই জিতেছেন একাধিকবার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ অবশ্য এখনও পাওয়া হয়নি তার। ফ্রান্সের হয়ে এমবাপে জিতেছেন ২০১৮ বিশ্বকাপ। ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে তিনি হ্যাটট্রিক করলেও আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যায় তার দল। আগামী মাসে জার্মানিতে বসবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। এই ট্রফি এখনও জিততে পারেননি এমবাপে। ২০২১ সালে হওয়া সবশেষ আসরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় ফরাসিরা। এবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে উন্মুখ এমবাপে। “দুই বছর আগে আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে ছিলাম। লক্ষ্য হলো সেখানে (ইউরো) যাওয়া এবং জেতা। তবে কাজটা সহজ হবে না, অনেক দল আছে। আমরা সত্যিই ক্ষুধার্ত এবং আমরা আরও চাই।” “আমাদের দেশের ইতিহাসের অংশ হতে চাই আমরা। আমি একবার বিশ্বকাপ জিতেছি, (২০২০-২১ মৌসুমে) নেশন্স লিগ জিতেছি, শুধুমাত্র ইউরো জিততে পারিনি। যদি এটা জিততে পারি, তাহলে জাতীয় দলের হয়ে সবকিছুই আমার জেতা হবে। আমি খুব করে জাতীয় দলের হয়ে ইতিহাস লিখতে চাই।” আগামী ১৭ জুন অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইউরো অভিযান শুরু করবে ১৯৮৪ ও ২০০০ আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ‘ডি’ গ্রæপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *