‘মিষ্টি কিছু’ মোটেও মিষ্টি নয়!

Share Now..

হরর ঘরানার চারটি ভিন্ন গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে অ্যান্থলজি সিরিজ ‘ষ’। মুখে মুখে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে তৈরি এই অ্যান্থলজি সিরিজ নির্মাণ করেছেন পরিচালক নুহাশ হুমায়ূন। মিষ্টি জিনিস যে জিন পছন্দ করে, এই প্রচলিত লোককথা থেকে ‘ষ’-এর দ্বিতীয় এপিসোড ‘মিষ্টি কিছু’, যেটি চরকিতে আসছে ১৪ এপ্রিল রাতে। বাকি পর্বগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রচার হবে।

‘মিষ্টি কিছু’র গল্পে এগিয়েছে, সদ্য মিষ্টির দোকানে চাকরি পাওয়া নিরাশ, সংসারী ভদ্রলোকের দেখা হয় এক নিশাচার ক্রেতার সাথে। গভীর রাতের সেই ক্রেতা কথা দেয়, মজার মজার মিষ্টির বদলে তাকে একটি বর দেবে। তাই-ই দেয়। লোকটা অবাক হয়ে একে একে ইচ্ছে পূরণ হওয়া দেখে।
চার পর্বের তারকাবহুল এ সিরিজের এই পর্বে মূল ভূমিকায় বহু দিন পর দেখা যাবে আফজাল হোসেন ও চঞ্চল চৌধুরীকে। সেই সাথে দেখা যাবে কাজী নওশাবা আহমেদ, খালেদ আহমেদ রুমি, মোমো আলি, মায়মুনা ইসলাম মেধা, মোহনা হোসেনসহ অনেককেই।ভিন্নধর্মী এমন কনটেন্টে কাজ করে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আফজাল হোসেন নিজেও। তিনি বলেন, ‘পেট কাটা ষ-তে যে গল্পগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো কম বেশি আমাদের সবার শোনা। কিন্তু গল্পগুলো যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তার ধরন একদম নতুন। নুহাশের মতো তরুণ এক যুবক এমন অসাধারণ কনটেন্ট নিয়ে কাজ করেছে, সেজন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে চরকিকে ধন্যবাদ এমন অভিনব প্লটের গল্প দর্শকদের দেখানোর সুযোগ করার কারণে। আর হ্যাঁ, মিষ্টি কিছু কিন্তু মোটেও মিষ্টি নয়।পরিচালক নুহাশ বলেন, ‘কিছু বাংলা ভূতের গল্প আছে, যা আমাদের সবার শোনা। মাছ রাঁধলে পেতনি আসে, মিষ্টির দোকানে রাতে জিন আসে, নিশির ডাক শুনতে নেই, খোলা চুলে সন্ধ্যায় বের হতে নেই। এসব ক্লাসিক বাংলা ভূতের গল্প কিন্তু আমাদের ঐতিহ্য। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের অলিখিত গল্প। এই গল্পগুলোকে এক স্ক্রিনে আনার সময় এসেছে। এই গল্পগুলো উপলব্ধি করার সময় এসেছে। পেটকাটা ‘ষ’-তে সেই ক্লাসিক গল্পগুলোকে নতুন করে উপস্থাপন করেছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *