মেক্সিকোয় এবার প্রবল বিক্ষোভ 

Share Now..

প্রস্তাবিত বিচারবিভাগীয় সংস্কারের প্রতিবাদে মেক্সিকোতে বিক্ষোভে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ডয়চে ভেলের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে বিচারবিভাগীয় সংস্কারের ফলে বিচারকদেরও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। সমালোচকদের মতে, এই ব্যবস্থা চালু হলে বিচারবিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে সমঝোতা করা হতে পারে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ ধাক্কা খেয়েছে। বিচারবিভাগের এই সংস্কার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর প্রস্তাব করেছিলেন এবং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট যিনি হবেন সেই ক্লাউদিয়া শেইনবামও তা সমর্থন করেছেন।

মেক্সিকোয় বর্তমানে বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের ফেডারেল জুডিশিয়াল কাউন্সিল নিয়োগ করে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের প্রেসিডেন্ট মনোনীত করেন এবং সেনেট তা অনুমোদন করে। কিন্তু যদি এই সংস্কার চালু হয় তাহলে সাত হাজার বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেট মানুষের ভোটে নির্বাচিত হবেন। কারা প্রার্থী হবেন সেই প্রস্তাব সরকারি প্রশাসন, আইনসভা ও বিচারবিভাগ করবে। দেশটিতে প্রস্তাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা ১১ থেকে কমিয়ে নয় করা হয়েছে। তাদের কাজের মেয়াদও ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১২ বছর করা হয়েছ। এ ছাড়া বিচারকদের তত্ত্বাবধানের জন্য নতুন সংস্থা তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। 

কেন এই বিতর্কিত সংস্কার?

এই সংস্কারের পক্ষে যারা আছেন, তাদের মত হলো, মেক্সিকোতে উচ্চ পর্যায়ের সহিংস অপরাধ থেকে মুক্তি পেতে গেলে এই সংস্কার জরুরি। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বর্তমানে বিচারবিভাগ মানুষকে পরিষেবা দিতে পারছে না। তারা সংগঠিত অপরাধীদের স্বার্থ দেখছে।” 

কিন্তু বিরোধীদের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু করলে পুরো বিচারবিভাগের রাজনীতিকরণ হবে। বিচারবিভাগীয় কর্মীদের ইউনিয়ন বলেছে, এর ফলে শ্রম অধিকার সংকুচিত হবে। তাদের মতে, বিচারকরা নির্বাচিত হলে, তারা বিশেষ স্বার্থ দেখবেন।  অপরাধী গোষ্ঠীগুলি বিচারকদের কুক্ষিগত করে ফেলবে।

এর বিরোধিতা করে বিচারবিভাগীয় কর্মীরা ধর্মঘটে নেমেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *