যশোরের শার্শায় ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের শিকার

Share Now..

 যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ 

যশোরের শার্শার  বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সোনাতনকাটি গ্রামে ১৩ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে তিনজন মিলে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের স্বীকার শিশুটি বামুনিয়া-সেনাতনকাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। শিশুটি পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীর বাড়ী থেকে ফেরার পথে ঐ তিন যুবক শার্শা উপজেলার সেনাতনকাটি গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে সাগর (১৮), শফিকুল ইসলাম (কলু) ছেলে সুমন (১৮), ও পার্শ্ববর্তী কলারোয়া উপজেলার ধানঘুরা গ্রামের রেজাউল সর্দার ছেলে নাহিদ হাসান (২৫)। গতকাল সোমবার রাত ৯টার সময় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সোমবার রাত ৯টার সময় পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীর বাড়ী থেকে শিশুটি ফেরার পথে ঐ তিন লম্পট অন্ধকারে পথ আটকে মুখ চেপে ধরে টেনে হেঁচড়ে পুকুর পাড়ের জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ শেষে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে মারা চেষ্টা করে। পরে শিশুটির পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পাশের পুকুরের পানি থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে শিশুটি বাড়ীতে ঘটনার বর্ণনা দিলে জানাজানির হলে একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করলে সোমবার রাতে সনাতনকাটি গ্রামের ভিতরে একটি রুমের মধ্যে শালিসী বৈঠকে মেয়ে পক্ষকে অর্থের প্রলোভন দেখানো হলে মেয়েটির বাবা এ জঘন্য ন্যক্কার জনক ঘটনার সুবিচার দাবি করলে গ্রাম্য সালিশি আয়োজন কারীরা চড়াও হয়। শালিস বিলম্ব করার এক পর্যায়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে জেনে ওই কুচক্রী মহলটি পালিয়ে যায়। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামী সাগরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, আজ সকালে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সাগর স্বীকার করেছে তারা তিনজন মিলে এ অপকর্ম লিপ্ত হয়েছিল। বাকি ২ আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য যশোর সদর হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *