যশোরের ব্যাংক গুলোতে মিলছে না টাকার নতুন নোট
এস আর নিরব যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোরের ব্যাংক গুলোতে মিলছে না টাকার নতুন নোট।ঈদ সালামির অন্যতম অনুষঙ্গ নতুন নোট । কিন্তু যশোরের ব্যাংকগুলোতে এখনো নতুন নোট মিলছে না। ব্যাংকগুলো বলছে, তারা এখনো নতুন নোট হাতে পাননি। ফলে গ্রাহকদের নতুন নোট সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, এ বছর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৩ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০ এপ্রিল থেকে এই নোট ছাড়া শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে নতুন নোট বাজারে ছাড়া হবে। ২০ এপ্রিল থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে।
তবে যশোরের ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০ এপ্রিল থেকে ছাড়া শুরু করলেও যশোরের ব্যাংকগুলোতে এখনো নতুন নোট পৌঁছায়নি। নতুন নোট পৌঁছাতে আরও দু-একদিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে। তবে ঈদের ছুটির দু-একদিন আগে নতুন নোট পৌঁছালে তা গ্রাহকদের মাঝে ঠিকমতো বণ্টন করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।
ব্যাংকগুলো বলছে, ২০ এপ্রিল টাকা বণ্টন শুরু হলেও যশোরের সব শাখায় নতুন নোট পৌঁছাতে পৌঁছাতে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। এরপর ব্যাংক খোলা থাকবে মাত্র দুদিন। ছুটির আগ মুহূর্তে অনেকেই গ্রামে যাওয়া বা এলাকা ত্যাগ করার কারণে নতুন নোট নিতে চাইলেও নিতে পারবেন না। এজন্য নতুন নোট বাজারে ছাড়লে তা ছুটির অন্তত ৭-১০ দিন আগে ব্যাংকের শাখাগুলোতে পৌঁছানো প্রয়োজন বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খুলনা আঞ্চলিক প্রধান ফকির আক্তারুল আলম জানান, তারা এখনো নতুন নোট পাননি। ফলে গ্রাহকরা নতুন নোট চাইলেও তারা তা সরবরাহ করতে পারছেন না।
যশোরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মহসিন আলী। তিনি বলেন, ‘ঈদ সালামি দিতে নতুন নোটের বিকল্প নেই। সবারই প্রত্যাশা থাকে ঈদে নতুন নোট পাওয়ার। বিশেষ করে শিশু-কিশোর-তরুণরা ঈদে নতুন টাকার জন্য অপেক্ষা করে। তাই নতুন নোটের জন্য শাহজালাল ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংক যশোর শাখায় যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু দুই শাখা থেকেই জানানো হয়েছে, নতুন নোট এখনো আসেনি। দু-একদিনের মধ্যে চলে আসবে।’
অগ্রণী ব্যাংক যশোর ঝুমঝুমপুর শাখার ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম জানান, তার শাখা এখনো নতুন নোট পায়নি। ফলে গ্রাহকরা চাইলেও তাদের নতুন নোট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নতুন টাকা না পেয়ে অনেক গ্রাহক মনে কষ্ট নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অন্তত এক সপ্তাহ আগে এই নোট ব্যাংকে পৌঁছানো প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সোনালী ব্যাংক যশোর রেলগেট শাখার ম্যানেজার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘যেহেতু ঈদের আগে নতুন নোট আসে, এজন্য গ্রাহকরা নতুন টাকা চাচ্ছেন। কিন্তু এখনো আমার শাখায় নতুন নোট আসেনি।’
অগ্রণী ব্যাংক যশোর শাখার এজিএম জাহাঙ্গীর কবীর জানান, ২১ এপ্রিল তিনি অল্পকিছু নতুন নোট পেয়েছিলেন। সেগুলো বণ্টন করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই বরাদ্দের নতুন নোট হাতে পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।