যশোর কোতোয়ালি থানার এএসআই টমাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

Share Now..

\ যশোর জেলা প্রতিনিধি \
গিফট বক্সে ইয়াবা দিয়ে আটক ও ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি থানার এএসআই টমাস মন্ডলসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার (২৪ অক্টোবার) যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডি পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। অন্য আসামিরা হলেন, যশোর কোতোয়ালি থানার আর এক এএসআই মোমিনুল হক ও মণিরামপুরের জামলা গ্রামের সুলতান গাজীর মেয়ে আরোহী ইসলাম আফরিন ওরফে রাবেয়া খাতুন। এর আগে এএসআই টমাসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গোলাম রব্বানী খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্র। অন্যদিকে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে বলে সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুক ও হোয়াটঅ্যাপে রব্বানীকে নক করেন আসামি রাবেয়া খাতুন। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রথম কথা হয়। রাবেয়া খাতুন নিজেকে যশোর এমএম কলেজের মাস্টার্সের ছাত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। নিজবাড়ি যশোরে আসছেন রব্বানি জানতে পেরে রাবেয়া তার সাথে দেখা করতে চান। ১৩ ফেব্রæয়ারি সোয়া ১০টার দিকে গোলাম রব্বানী দড়াটানা ব্রিজের উপর আসলে আসামি রাবেয়া খাতুন নিজেকে আফরিন পরিচয় দিয়ে কথা বলেন। এসময় রব্বানীকে একটি ফুলের তোড়া ও একটি র‌্যাপিং করা গিফট বক্স হাতে ধরিয়ে দিয়ে ব্যস্ততার কথা বলে চলে যান এবং জানান ওই বক্সে ঘড়ি আছে। গোলাম রব্বানী দড়াটানা হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে ওই বক্সে ইয়াবা রয়েছে দাবি করেন। এরপর তাদের সাথে যুক্ত হন রাবেয়া নিজেও। তারা রব্বানীর কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওই দুই পুলিশ সদস্য সংবাদ দিয়ে থানা থেকে আরও কয়েকজন পুলিশকে ডেকে নিয়ে আসেন। এএসআই মোমিনুল হক রাবেয়ার দেয়া গিফট ব্যক্স বের করে খুলে ২০০ পিস ইয়াবা বের করেন। টাকা না দেয়ায় গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। উল্লেখ্য, এএসআই টমাস মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। কোতোয়ালি থানার সাবেক এক ওসির ঘনিষ্টজন হওয়ায় যা ইচ্ছে তাই করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি টাকা দিলে ইয়াবাসহ আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দিয়েছেন, আবার টাকা না দিলে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন নিরীহ ব্যক্তিদেরও। অভিযোগ রয়েছে এএসআই টমাস বাদী পক্ষের অভিযোগ নিয়ে আসামিপক্ষের বন্ধু সেজে যান। এরপর কাজ করেন আসামিপক্ষের হয়ে। এছাড়া চলতি বছরের প্রথমে এএসআই টমাসের ইয়াবাসহ আসামি ধরা ও সেই ইয়াবা আত্মসাৎ করা নিয়ে টিবি ক্লিনিক এলাকায় সোলাইমান নামের এক যুবক হত্যার শিকার হন। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই টমাসের নানা অপকর্ম নিয়ে একাধিকবার পত্রপত্রিকায় লেখালেখিও হয়েছে। সেই থেকেই তিনি সমালোচনায় ভাসছেন। এএসআই টমাস বলেন, তিনি বিশেষ অভিযানে জানতে পারেন রব্বানী ইয়াবা নিয়ে দড়াটানায় অবস্থান করছেন। উর্ধ্বতন মহলকে সাথে সাথে বিষয়টি জানান। পরে তাদের নির্দেশে তিনি রব্বানীকে আটক করে ওই টিফিন বক্স থেকে ইয়াবা উদ্ধার করেন।

One thought on “যশোর কোতোয়ালি থানার এএসআই টমাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *