যশোর সদর হাসপাতালে এক বেডে দুই রোগী, ওয়ার্ডবয়সহ আটক ২

Share Now..

\ যশোর জেলা প্রতিনিধি \
যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর বিছানায় অন্য রোগীকে উঠিয়ে দেয়াকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের দুই কর্মচারী ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই দুই কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে হাসপাতালের তিন তলার মাহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ৮নং বেডে এ ঘটনা ঘটে। আটক কর্মচারীরা হলেন- সদর হাসপাতালের ওই রুমের ওয়ার্ডবয় হাশিমপুর গ্রামের মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান (৫০) এবং যশোর ও ল্যাবস্কান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৩)। আহতদের স্বজনদের মাধ্যমে জানা যায়, গত মঙ্গলবার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সদর উপজেলার দাইতলা গ্রামের রিপন হোসেনের স্ত্রী হাসপাতালের তিন তলার মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ৮নং বেডে ভর্তি হন। পরে চিকিৎসক তাকে কয়েকটি রির্পোট করতে বলেন। সে মোতাবেক তার স্বামী রিপন হোসেন তাকে নিয়ে যশোর ও ল্যাবস্কান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান পরীক্ষা করানোর জন্য। এরমধ্যে ওই ৮নং বেডে নতুন করে আসা একজন রোগীকে ওঠিয়ে দেন হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় আসাদুজ্জামান ও ল্যাবস্কান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী জাহাঙ্গীর। পরে পূর্বের রোগীর স্বজনরা সেখানে এসে দেখেন ওই বেডে আরেকজন রোগী রয়েছে। এসময় আসাদুজ্জামান ও জাহাঙ্গীরের সাথে রিপন হোসেনের কথা কাটা-কাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ড. হারুন অর রশিদ এর কক্ষে আরএমও রোগীর অভিভাবকদের নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেন। কিন্তু রোগীর স্বজনদের চাপের মুখে হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক কোতয়ালী থানায় জানালে কোতয়ালী থানা পুলিশ আসাদুজ্জামান ও জাহাঙ্গীরকে তাদের হেফাজতে নেয়। বর্তমানে তারা কোতয়ালী থানায় রয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এদিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন- হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় ও ঝাড়ুদাররা হাসপাতালের বেড নিয়ে রোগীর স্বজনদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করেন। সুধু তাই নয় রোগীর বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষ নীরিক্ষা হাসপাতালের বাইরে থেকে কম খরচে করানোর কথা বলে অর্থ আদায় করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *