যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হুমকি উত্তর কোরিয়ার
সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা এখন চরমে। এসব পরীক্ষায় যুক্ত বেশ কয়েকজন উত্তর কোরিয়ান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাইডেন প্রশাসন। যার প্রেক্ষিতে পাল্টা হুমকি দিয়েছে কিম জন উনের দেশ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য হিন্দু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রাথমিকভাবে মনে করেছিল, উত্তর কোরিয়া হয়তো পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। তবে কিম জং উন পরে জানান, হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা হয়েছে।
ওই পরীক্ষার পরই উত্তর কোরিয়ায় ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার ওপর আগে থেকেই একাধিক মার্কিন এবং জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, নতুন এই নিষেধাজ্ঞা তার ওপর যুক্ত হলো।
সেই ঘটনার পর শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) উত্তর কোরিয়া আবারও অজ্ঞাত মিসাইল নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের কর্মকর্তারা। এক সপ্তাহেরও বেশি কিছু সময়ের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া নিজের পূর্ব দিকে অজ্ঞাত একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে এর বেশি আর কোনো তথ্য দেয়নি তারা।
জাপানের কোস্টগার্ডের মুখপাত্র জানান, ঠিক কোথায় পড়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি তা তারা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার পর এবার মুখ খুলেছে পিয়ংইয়ং। তাদের দাবি, সম্পূর্ণ বিনা কারণে যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্রে বৃহস্পতিবার দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের একটি বিবৃতি ছাপা হয়েছে। সেখানে কার্যত যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞার সামনে মাথা নত করবে না উত্তর কোরিয়া। আত্মরক্ষার্থে নতুন নতুন অস্ত্রের পরীক্ষাও অব্যাহত থাকবে।
উত্তর কোরিয়ার দাবি করছে, কোনো দেশকে লক্ষ্য করে নতুন মিসাইলের পরীক্ষা করা হয়নি। নিজেদের অস্ত্রভান্ডার এবং সামরিক শক্তির আধুনিকীকরণের উদ্দেশেই এই পরীক্ষা করা হয়েছে। কোনো দেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল।
Você também pode personalizar o monitoramento de determinados aplicativos, e ele começará imediatamente a capturar instantâneos da tela do telefone periodicamente.