যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ তুষার ঝড়, প্রাণহানি বেড়ে ৫৯

Share Now..

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ তুষারঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শীতকালীন ঝড়ে গোটা যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে নাকাল অবস্থা। এরই মধ্যে কয়েক হাজার ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকা। স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সপ্তাহের শেষে আরেক দফা তুষারঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। খবর এনবিসি ও গার্ডিয়ানের।

উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় থেকে উত্তর-পূর্ব এবং মিসিসিপি পর্যন্ত দক্ষিণে চলতি সপ্তাহে অন্তত নয়টি অঙ্গরাজ্যে প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ঘন বরফে আচ্ছাদিত সড়কপথে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্কুল বন্ধ করা হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হাজারের বেশি

ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং ৮ হাজারের মতো ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। টেনেসি অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। ওরেগনের কর্মকর্তারা বলেছেন, বুধবার বরফের ঝড়ের সময় পোর্টল্যান্ডের একটি পার্ক করা গাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন জন নিহত হয়েছেন। পরে একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। কেনটাকিতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট পাওয়ার আউটেস ইউএস জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তুষারঝড়ে ওরেগনের ৭৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন ছিল। এর পরই রাজ্যের গভর্নর রাজ্যটিতে জরনর অবস্থা ঘোষণা করেছেন। পেনসিলভানিয়ার পুলিশ বুধবার বলেছে নিউ ইয়র্কের পাঁচ জন নারী নিহত হয়েছেন। ইলিনয়, কানসাস, নিউ হ্যাম্পশায়ার,

নিউ ইয়র্ক, উইসকনসিন এবং ওয়াশিংটন রাজ্যেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিম নিউ ইয়র্কের আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, এই সপ্তাহে পাঁচ দিনের ব্যবধানে বাফেলোর কাছে প্রায় ৭৫ ইঞ্চি (১.৯ মিটার) তুষার পড়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আর্কটিক আবহাওয়ার কারণে তুষার। কিছুটা কমে এলেও সপ্তাহান্তে তাপমপত্রা আরো বেশি করে হিমাঙ্কের নিচে চলে যাবে। তখন ঠান্ডায় মানুষের অবস্থা জবুথবু হবে। এ কারণে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা আরো বলেছেন, কনকনে হাওয়া মনটোনা থেকে ফ্লোরিডার দিকে বেশি প্রবাহিত হবে এবং উত্তর-পশ্চিম ইন্ডিয়ানাতে ঘণ্টায়। দুই ইঞ্চি পর্যন্ত তী তুষারপাত হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *