যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক

Share Now..

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রাফা ক্রসিংয়ের কর্মকর্তারা। বলা হয়েছে, মিশর থেকে রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে বেশ কিছু ট্রাক প্রবেশ করেছে। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিনিরা। এ ঘটনায় একদিকে তারা যেমন আনন্দিত আবার দুঃখিতও।

যুদ্ধবিরতির পর রাফা ক্রসিং প্রশাসনের মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে গাজা উপত্যকায় সাহায্য ও জ্বালানি ট্রাকের প্রবাহের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। মুখপাত্র জানিয়েছেন, শুক্রবার গাজায় ২৩০টি ট্রাক প্রবেশ করার কথা।

শুক্রবার থেকে গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এদিন দুই পক্ষের মধ্যে এই চুক্তি কার্যকর হয়। এতে মধ্যস্থতা করে কাতার। এই যুদ্ধবিরতিতে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে বেশকিছু বন্দিবিনিময়ের কথা রয়েছে।

যদিও যুদ্ধবিরতিকে সামনে রেখে গাজায় রাতভর বোমা হামলা চালায় ইসরাইল। পাওয়া গেছে বহু হতাহতের খবরও। তাছাড়া যুদ্ধবিরতি শেষে আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু হবে বলে জানিয়েছে তেলআবিব।

এদিকে দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর কাতারের মধ্যস্থতায় শুক্রবার হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফিলিস্তিনিদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গাজা উপত্যকার নুসেরাত শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা হামজা ইব্রাহিম বলেন, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজার ফিলিস্তিনিরা আনন্দিত একইসঙ্গে তারা আবার দুঃখিতও। হামজা ইব্রাহিম বলেন, অব্যাহত বোমা হামলার মধ্যে মানুষ যে কষ্ট এবং আতঙ্কে ছিল, এই যুদ্ধবিরতি সেই কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাত্যাহিক কাজ করতে পারব এবং পরিবারের সঙ্গে আবারও পুনর্মিলিত হতে পারব। এটি ফিলিস্তিনিদের জন্য আনন্দের। তবে ফিলিস্তিনিরা আবারও দুঃখিতও কারণ, যুদ্ধবিরতির পর আবারও সেই ‘দুঃস্বপ্ন’ ফিরে আসবে।

তিনি বলেন, তাছাড়া  গাজাকে পুনর্গঠন করতে কয়েক দিনের যুদ্ধবিরতি পর্যাপ্ত নয়। উত্তরাঞ্চলের যেসব মানুষের বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। যুদ্ধ শেষে সেসব মানুষ কোথায় যাবে? ‘গাজাকে পুনর্গঠন করতে আমাদের হাজার হাজার ট্রাক (সহায়তা) লাগবে; আমাদের গাজাকে পুনর্গঠন করতে কয়েক বছর কয়েক দশক লাগবে বলে উল্লেখ করেন হামজা।

গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইলের মধ্যে শুরু হয় হামলা- পালটা হামলা। ঐদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। যা যুদ্ধবিরতির আগ পর্যন্ত এক টানা চলেছে। ইসরাইলদের এ হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। অপরদিকে হামাসের হামলা প্রায় ৩৬০ সেনাসহ ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি প্রাণ হারিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *