যুদ্ধ প্রতিহতে ইউক্রেনে ‘একতা দিবস’
ইউক্রেনের প্রতিরোধ নেতা দেশটির নাগরিকদের বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) একতা দিবস উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত যেকোনো সময় রাশিয়ার বিধ্বংসী হামলার আশঙ্কা এখনো রয়েছে- ওয়াশিংটনের এই সতর্কতার মধ্যে দেশটিতে একতা দিবস উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হলো।
যথাসম্ভব ১৬ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে-মার্কিন প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করার পর দেশের নাগরিকদের মধ্যে দেশাত্মবোধক চেতনা জাগ্রত করার লক্ষ্যেই প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একতা দিবসের জন্য এই তারিখটি বেছে নেন।
নৌ শক্তি বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী আর্টিলারি ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সমর্থনসহ ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েনের ঘটনায় ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়। মঙ্গলবার সমস্যার সমাধানে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর মস্কো বলেছে, তারা কিছু সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেছেন যে যাচাইযোগ্য প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাশিয়াকে তার সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে। এর আগে বাইডেন কিয়েভ থেকে ওয়াশিংটন দূতাবাস গুটিয়ে ফেলতে এবং মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সংকটের ব্যাপারে এক ভাষণে বাইডেন বলেছেন, বিশ্লেষকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা একটি হুমকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। যা ঘটছে সেটা কোন বিষয় নয়, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয় প্রস্তুত রয়েছে। আমরা কূটনীতির জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
শক্তিশালী অবরোধের কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ব্যাপারে আমরা যথাযথ জবাব দিতে প্রস্তুত, এখনো সে পরিস্থিতির যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।