রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনায় আটক ২০
বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি পাওয়ার প্লান্টে ডাকাতি ও দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রামপাল থানার ওসি সোমেন দাস বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন-উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের কৈগরদাসকাঠি এলাকার মুনছুর গাজীর ছেলে আছাবুর গাজী (৩০), রেজাউল শেখের ছেলে রাঙ্গা শেখ (৩৮), আজগর গাজীর ছেলে রাজু (৩৫), সিদ্দিক শেখের ছেলে মুক্তার (৩২), কাপাশডাঙ্গা এলাকার হাসান শেখের ছেলে মো. মানিক শেখ (৩৫), ওমর গাজীর ছেলে ফারুক গাজী (৪৭), জুলফিকার মোল্যার ছেলে জারিয়াত মোল্লা (৪৬), মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে এসকেন্দার শেখ (৪৩), হাবির ছেলে আহাদ আলী (৩৮), মৃত আনার আলী গাজীর ছেলে মো. ফজলু গাজী (৫৫), মো. হাফিজ শেখের ছেলে মো. সালাম শেখ (৩০), মৃত আনার আলী গাজীর ছেলে মো. মনি গাজী (৪০), সাইফুল শেখের ছেলে মো. নূরনবী শেখ (১৯), মৃত হাদী মোল্লার ছেলে মো. আহাদ মোল্লা (৩৩), মো. কুদ্দুস আলী গাজীর ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (৩৩), মো. বিল্লাল মোল্লার ছেলে মো. বাইজিদ মোল্লা (৩৭), ছায়রাবাদ এলাকার মো. তাহিদ শেখের ছেলে মো. রুবেল শেখ (২৬), গৌরম্ভা এলাকার মো. আবুল বাশার গাজীর ছেলে মো. মাজহারুল গাজী রাজ (২৮), বর্ণি এলাকার মো. শুকুর গাজীর ছেলে মো. আছাবুর গাজী (৩০) ও বড়দূর্গাপুর এলাকার পিরালী শেখের ছেলে আকরাম শেখ (৪৭)।
ওসি সোমেন দাস বলেন, গত বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের গেটে ৪০-৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দামি জিনিসপত্র ডাকাতি করে নেওয়ার জন্য জোরপূর্বক প্রবেশ করে। এ সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে তারা নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তাদের ডাক চিৎকারে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা এসে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আনসার সদস্য ও নিরাপত্তাকর্মীদের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি মারধর করে জখম করে। এ সময় আনসার সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে।