রাশিয়ার কয়লা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত ইউরোপে কার্যকর

Share Now..


দীর্ঘকাল রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানির উপর নির্ভরতা কাটিয়ে তুলতে হিমসিম খাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ করলেও তেল ও গ্যাসের ক্ষেত্রে নির্ভরতা এখনো রয়েছে।

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার শাস্তিহিসেবে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়ে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নিজস্ব স্বার্থেই সেই সব সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা সম্ভব না হলেও ধাপে ধাপে সেই সব নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হচ্ছে। তারই আওতায় বুধবার মধ্যরাত থেকে রাশিয়া থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ করা হলো। রাশিয়ার উপর পঞ্চম দফার নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ১২০ দিন আগে ইইউ সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইইউ কমিশনের হিসেব অনুযায়ী এর ফলে রাশিয়া বছরে প্রায় ৮০০ কোটি ইউরো হারাবে। উল্লেখ্য, গত বছর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন আনুমানিক ৪১০ কোটি ইউরো মূল্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ কয়লা রাশিয়া থেকে আমদানি করেছে।

রাশিয়া থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ করলেও পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের ক্ষেত্রে ইইউ দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। নীতিগতভাবে পেট্রোলিয়াম আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত সেই সরবরাহে কোনো বাধা দেবে না ব্রাসেলস। তাছাড়া হাঙ্গেরির মতো দেশের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে ইইউ। উপকূলবিহীন দেশ হিসেবে হাঙ্গেরি পাইপলাইনের মাধ্যমেরাশিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম আমদানি করে।

ইইউ-র নিষেধাজ্ঞার মুখে মস্কোও হাত গুটিয়ে বসে নেই। নানা কারণ দেখিয়ে রাশিয়াই ইউরোপকে জব্দ করতে পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের সরবরাহ হয় কমিয়ে দিচ্ছে অথবা প্রায়ই বন্ধ করে দিচ্ছে। চুক্তি ভেঙে গ্যাসের দাম মেটাতে রুবল দাবি করছে রুশ কোম্পানিগুলি। রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামতির কারণ দেখিয়ে ‘নর্ড স্ট্রিম ১’ পাইপলাইন কিছুদিন বন্ধ রেখেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি। রাশিয়ার ট্রান্সনেফট কোম্পানি মঙ্গলবার হাঙ্গেরি, চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়ায় পেট্রোলিয়াম সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *