রিয়াল মাদ্রিদের রেকর্ডের রাতে যত মাইলফলক
শনিবার (২৮ মে) রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের একমাত্র গোলে লিভারপুলের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর মধ্য দিয়ে রেকর্ড ১৪তম বারের মতো টুর্নামেন্টটির শিরোপা জিতেছে তারা। এখন স্প্যানিশ জায়ান্টদের ধারেকাছেও কেউ নেই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুলের শিরোপা ৬টি।
চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই যেন রিয়াল মাদ্রিদ। ফাইনালে তারা কখনো হারে না। ফাইনালে উঠা সর্বশেষ সাতটি চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছে রিয়াল। ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসরটিকে নিজস্ব সম্পদে পরিণত করে নিয়েছে তারা। যার প্রমাণ ২৮ মে’র ম্যাচটিও। পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে লিভারপুল। গোল করার সুযোগ পেয়েছিল বেশ কয়েকটি। অন্যদিকে, রিয়াল মাত্র একটি সুযোগ পায় এবং সেটিকেই কাজে লাগাতে সক্ষম হয়।
শনিবারের ফাইনালে বেশ কয়েকটি মাইলফলক হয়েছে। সেগুলো সংখ্যা আকারে তুলে ধরা হলো।
১-০
এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ১-০ ব্যবধানে ফল নির্ধারণ হয়েছে। এর আগে ১৯৭৭-১৯৭৮ থেকে ১৯৮২-১৯৮৩ মৌসুম পর্যন্ত টানা ৬বার একই ব্যবধানে ফাইনালের ফল নির্ধারণ হয়েছিল।
৩
কোচ হিসেবে জার্গেন ক্লপ সর্বোচ্চ তিন বার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পরাজিত হলেন (২০১৩ সালে বরুশিয়া ডটমন্ড এবং লিভারপুলের হয়ে ২০১৮ ও ২০২২)। এর আগে এ রেকর্ড ছিল কেবল মার্সেলো লিপ্পির দখলে।
৩
জর্ডান হেন্ডারসন প্রথম ইংলিশ ফুটবলার, যিনি চ্যাম্পিয়নস লিগ/ইউরোপীয়ান কাপ ফাইনালে তিন বার অধিনায়কত্ব করেছেন।
৪
কার্লো আনচেলত্তি প্রথম কোচ, যিনি চারটি ইউরোপীয়ান কাপ জিতেছেন (এসি মিলানের হরয়ে ২০০৩ ও ২০০৭ মৌসুম এবং রিয়াল মাদ্রিদে ২০১৪ ও ২০২২ মৌসুম)।
৫
এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা একমাত্র ফুটবলার ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন- করিম বেনজেমা, লুকা মদরিচ, দানি কারভাজাল, ইসকো, টনি ক্রুস, গ্যারেথ বেল, মার্সেলো, ক্যাসিমিরো ও নাচো।
৯
শনিবার মোট নয়টি সেভ করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের গোলকিপার কোর্তোয়া। যা ২০০৪ সালের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কোনো গোলকিপারের সবচেয়ে বেশি সেভ। একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের এ মৌসুমে তিনি মোট ৫৯টি সেভ করেছেন। এটিও একই সময়ের বিবেচনায় সর্বোচ্চ।
২.১৪ বনাম ০.৮৮
গোলের সুযোগ তৈরি করার দিক দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ০.৪৪ এর তুলনায় লিভারপুলের ছিল ২.১৪। যা এ মৌসুমে নির্দিষ্ট একটি ম্যাচে গোল করতে না পারা দলের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
১৪/১৭