রোজকার একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে

Share Now..

প্রতিদিন তারা একই রুটিন ধরে ঘুম থেকে ওঠে। রুটি-ডাল, ভাজি একটা ডিম খায়, চেনা পথ ধরে যায় পুরনো অফিসে। রোজকার এই গতানুগতিকতা তৈরি করে ভয়ঙ্কর মানসিক চাপ। আমাদের অগোচরেই শরীরে বাসা বাঁধে ডায়াবেটিস, অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো রক্তবাহী নালির অসুখ, হাইপারটেনশন, ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজের মতো একাধিক সমস্যা। কারও কারও পেটের অসুখ শুরু হয়।

দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে স্মৃতিভ্রংশ, ব্রেনের অ্যট্রিফি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। মানসিক সমস্যাও রয়েছে। মনঃসংযোগে ঘাটতি, সৃজনশীল উদ্ভাবনী চিন্তার ঘাটতি ইত্যাদি। সব মিলিয়ে কর্মস্থলে নতুন কিছু করে দেখানোর উৎসাহের অবশিষ্ট থাকে না। শরীর মনে দেখা দেয় প্রবল ক্লান্তি। স্বাভাবিক ক্লান্তি আর এই ধরনের ক্লান্তির মধ্যে একটু তফাত আছে। 

প্রশ্ন হলো এমন একঘেয়ে কাজের বাঁধন থেকে মুক্ত হবেন কীভাবে? ছোট ছোট পরিকল্পনা করুন। ওই পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করলেই তরভাজা অনুভব করবেন। দেড় ঘণ্টা অন্তত ১০ মিনিটের রেস্ট নিন ও সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন। কর্মক্ষেত্রে হাসি ঠাট্টা হলে তার মধ্যে অংশগ্রহণ করুন। বাইরে গিয়ে গুণগুণ করে একটু গানও গাইতে পারেন। অফিসে চেয়ারে বসেই লেগ স্ট্রেচ করা, কোমর একটু বেঁকিয়ে নেওয়ার মতো এক্সারসাইজ করা যায়। তাতে শরীর ও মনের উন্নতি হবে। প্রাপ্য ছুটি নিন। বেড়াতে যান। নতুন জায়গায় বেড়াতে যান। ভ্রমণেই কেটে যাবে কাজের জায়গার একঘেয়েমি। 

প্রতিদিন নিয়ম করে নিজেকে প্রকৃতির সংস্পর্শে রাখার চেষ্টা করুন। কাজের টেবিলের পাশে জানালা থাকলে জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখা গেলে কাজের একঘেয়েমি কাটে। এছাড়া যেখানে বসে কাজ করছেন সেখানে প্রকৃতির ছবি রাখুন। দেখবেন ভালো লাগছে। গতিশীল মন ওই ছবি ধরেই পৌঁছে যাচ্ছে কোনও এক পাহাড়ের সন্ধ্যায় কিংবা সামুদ্রিক ভোরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *