র্যাব সেজে ডাকাতি করে তারা, হাতে থাকে হাতকড়া
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ব্যাংক থেকে কর্মীদের বেতনের টাকা তুলে ফেরার সময় র্যাব ও সাংবাদিক পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে সাড়ে ১৯ লাখ টাকা ডাকাতি করে একটি চক্র। এ ঘটনায় মূলহোতাসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (১২ জুন) রাতে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাতা দলের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, র্যাব লেখা জ্যাকেট, হাতকড়াসহ অন্য সরঞ্জাম এবং লুট হওয়া অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, ভোলার লালমোহন এলাকার হামিম ইসলাম (৪৫), গাইবন্ধার পলাশবাড়ী এলাকার জিন্নাহ মিয়া (২৭), গাজীপুরের টঙ্গীর আমিন হোসেন (৩০), দিনাজপুরের কাহারোল এলাকার রুবেল ইসলাম (৩৩), গাইবন্ধার সাদুল্যাপুর এলাকার আশিকুর রহমান (৪২)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গাজীপুরের শ্রীপুরের সেলভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানার ৩ নম্বর গেটের সামনে থেকে ৬ জুন র্যাবের পরিচয়ে কারখানার তিন কর্মকর্তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। পরে তাঁদের জিম্মি করে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ও ট্রাক ভাড়ার ১৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে তাঁরা। ওই ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। গ্রেপ্তার হামিম এই ডাকাত দলের প্রধান। এই ডাকাত দলের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য রয়েছে। ৩-৪ বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভুয়া সদস্য পরিচয় দিয়ে তাঁরা গাজীপুর, টঙ্গী, উত্তরাসহ রাজধানীর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির করতেন। শুধু র্যাব নয়, তাঁরা পুলিশ, ডিবি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভুয়া পরিচয়ও দিতেন। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়িতে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন বাহিনীর লোগো–সংবলিত স্টিকার ব্যবহার করতেন।