লাকসামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণের সংকট, ২ জনের মৃত্যু 

Share Now..

কুমিল্লার লাকসামে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সরকারি হিসাবে উপজেলার ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ এখানও পানিবন্দী।

৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪ হাজার বন্যার্ত আশ্রয় নিয়েছে। তবে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের বাসায় আশ্রয় নেওয়া মোট বন্যার্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। 

প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণের সংকট
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণের সংকট রয়েছে। বিশেষ করে রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট চরমে। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম অংশের আশ-পাশ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পর্যাপ্ত ত্রাণকার্য চালু রয়েছে। তবে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে না পারায় দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে বানভাসিরা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে ত্রাণ কার্য অব্যাহত রয়েছে।

দুই জনের মৃত্যু
এদিকে পানি সরবরাহ করতে গিয়ে কাদ্রা গ্রামের খালেদ মাহমুদ শিহাব (২০) নামের এক মাদ্রাসাছাত্র মারা যায়। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে আউশপাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে মাকসুদা বেগম (৫৫) নামের আরেক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার কান্দিরপাড় গ্রামের কামোড্ডা গ্রামে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওইদিন ভোরে বুক ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান। পুরো এলাকা জুড়ে বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় ৪-৫ কিমি দূরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *