‘লাল কার্ডের পর প্ল্যান করার আগেই গোল হজম করি’

Share Now..

মোহামেডানের দায়িত্ব গ্রহণের পর দলের কোচ আলফাজ আহমেদ ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ট্রফি এনে দিয়েছেন। ৯ বছর পর মোহামেডানকে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে তুললেন। অল্পের জন্য ট্রফি ধরতে পারলেন না। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেও সেটা রাখতে পারলেন না মোহামেডানের ফুটবলাররা।

সেই আক্ষেপে পুড়ছেন কোচ আলফাজ। ১০ জনের বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে গোল পেয়েও লিড ধরে রাখার সুযোগই পায়নি আলফাজের মোহামেডান। পালটা গোল করে এক মিনিটেই মোহামেডানের আনন্দ থামিয়ে দেয় বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু কেন এমনটা হলো? আলফাজ যেটা বললেন, ‘লাল কার্ড হওয়ার পর আমি যে প্ল্যানটা দেব, সেটা দেওয়ার সময়ই পাইনি। আমি মনে মনে প্ল্যান সাজাচ্ছিলাম। আর তখনই আমরা গোল পেলাম। এগিয়ে গেলাম। তখনো সময় পেলাম কোথায়! সঙ্গে সঙ্গেই গোল হজম করি আমরা।’

মাঠে যারা ছিলেন, তারা লিড নিয়ে দলটাকে কীভাবে রক্ষা করবেন, তা বুঝে উঠতে পারেননি মোহামেডান ফুটবলাররা। আলফাজ বলেন, ‘গোল করলাম, তখনই অগোছালো হয়ে গেল আমার প্লেয়াররা।’ ১-১ হওয়ার পরও ৩৯ মিনিট সময় পেয়েছিল মোহামেডান। আলফাজ বললেন, ‘আমি যেভাবে বলেছি সেটা হয়নি। এখানে অভিজ্ঞতা একটা বড় ব্যাপার।’ অধিনায়ক সুলায়মান দিয়াবাতের পারফরম্যান্স নিয়ে আলফাজ বলেন, ‘ওর সময়টা ভালো যাচ্ছে না।’

রাকিব হোসেন

কিংসের সমতা আনেন রাকিব হোসেন। খেলা শেষে ভিড়ের মধ্যে রাকিব জানিয়ে গেলেন ফাইনাল জয়ের পেছনের কথা। কীভাবে তারা বাজিমাত করেছেন। রাকিব বললেন, ‘আমরা একবারও খেলা থেকে হারিয়ে যাইনি। আমরা লাল কার্ড পেয়ে ১০ জনের দল হই। সেখানেও আমাদের মধ্যে ভাঙন ধরাতে দিইনি। সবচেয়ে বড় কথা, গোল খাওয়ার পরও আত্মবিশ্বাস হারাইনি। আমরা আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। আমাদের খেলাটা খেললে আমরা ফিরে আসতে পারব এবং সেটাই হয়েছে।’

কিংসের অধিনায়ক রবসন

ফাইনাল শেষ করে পুরস্কার গ্রহণ করলেন কিংসের খেলোয়াড়েরা। তার পরই সব খেলোয়াড় দৌড়ে গিয়ে ড্রেসিংরুমে ঢুকলেন। এত হট্টগোলের মধ্যে কথা বলা কঠিন ছিল। কারণ দর্শক মাঠে ঢুকে খেলোয়াড়দের ঘিরে ধরেছে। ড্রেসিংরুমের বাইরে দর্শকের ভিড়ে আটকে ছিলেন বেঞ্চে থাকা ফুটবলার শেখ মোরসালিন। পেছনে পড়ে গিয়ে দর্শকের ভিড়ে আটকে যান মাঠে। শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেলফি তুলবেন দর্শক। সেখানেই ভিড়ে আটকে যান এই তরুণ ফুটবলার। ড্রেসিংরুমে তখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে হইচই। উল্লাস। কিংসের অধিনায়ক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রবসন বললেন, ‘আমরা জানতাম এটা কঠিন ম্যাচ হবে। কখনো হাল ছাড়িনি। যখন ১-১ হয়েছে, তখন আমরা বুঝতে পেরেছি ম্যাচ জেতা সম্ভব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *