শার্শার ডিহি ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে অনিয়মের বিচার চেয়ে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে।

Share Now..

এস আর নিরবঃ 

যশোরের শার্শার ১নং ডিহি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল ও ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামরুজ্জামান (জজ মিয়া) সহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। অভিযোগটি করেছেন ফাতেমা খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী।

গত রবিবার (১৮ই জুন) ১নং ডিহি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগটি করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন

শার্শার ১নং ডিহি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল ও ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার

কামরুজ্জামান (জজ মিয়া) এবং খলিশাখালীর মিসির ব্যাপারী।

ভুক্তভোগীর বক্তব্য ও অভিযোগ থেকে জানা যায়,ভুক্তভোগীর স্বামী খলিশাখালি ৪নং ওয়ার্ডের মৃত আঃ গণি। ভুক্তভোগী তার মেয়ে ফারহানা ফেরদৌস (প্রমি) (১৩) কে নিয়ে যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। ভুক্তভোগীর স্বামীর মাতা অথ্যাৎ আমার শ্বাশুড়ী মনোয়ারা খাতুন শার্শা থানাধীন খলিশাখালী গ্রামে বসবাস করিতেন। তিনি একজন ক্যান্সারের রোগী ছিলেন। ভুক্তভোগী আরো জানান, আমরা মাঝে মধ্যে সেখানে গিয়ে আমার শ্বাশুড়ীকে দেখা শোনা করিয়া আসিতাম। আমার স্বামী গত ইং-২৯/০৯/২০১৭ তারিখ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেন। আমার শ্বাশুড়ী অসুস্থ্য থাকা অবস্থায় মেম্বার কামরুজ্জামান ও চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় মিসির ব্যাপারীর যোগসাজস করিয়া কৌশলে আমার শ্বাশুড়ীর কাছ থেকে তার নামীয় শার্শা থানাধীন খলিশাখালী গ্রামস্থ সকল জমি মিসির ব্যপারী আমার ২ ননদদের নামে লিখিয়া নেয়। আমার শ্বাশুড়ী অসুস্থ্য থাকায় বিষয়টি বুঝিতে পারে নাই বিধায় উক্ত বিষয়ে আমাকে কোন কিছু তিনি বলেন নাই। গত ২০২১ সালে আমার শ্বাশুড়ী মারা যান। আমি মিসির ব্যাপারী ও মেম্বারের নিকটে গিয়া আমার স্বামীর প্রাপ্ত অংশ আমাকে বুঝাইয়া দেওয়ার জন্য অনুরোধ করিলে মিসির ব্যপারী জানায় আমার স্বামীর কোন অংশ সেখানে নাই। আমার শ্বাশুড়ী মারা যাওয়ার পূর্বে তাদের কে সকল জমি লিখিয়া দিয়াছে। আমি মিসির ব্যাপারীর বিরুদ্ধে আমার ও আমার মেয়ের নামে যে সম্পত্তি আছে সেগুলো দেখাশোনা করতো মিসির ব্যাপারি কিন্তু আমাকে কোন ভাগ না দেওয়ায় আদালতে মামলা করি। আদালত মামলাটি যশোর সিবিআই কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া নির্দেশ দেয়। পিবিআই তদন্ত কালে দেখা যায়, মিসির ব্যপারী ও মেম্বার কামরুজ্জামান এবং চেয়ারম্যানের ইন্দনে ও সহায়তায় আমার স্বামীর অংশীদার ও ওয়ারেশ হিসাবে রিমিকা পারভীন রিমু এবং তার মেয়ে ফাহিমা ফেরদৌসদের নামে ভুয়া ওয়ারিশ কায়েম এবং জম্ম সনদপত্র তৈরি করিয়াছে। আসামীদের তৈরিকৃত জম্মসনদে ফাহিমা ফেরদৌস এর পিতার নাম আঃ গনি উল্লেখ করা হয় যাহা তৈরি করা হইয়াছে। আমার স্বামীর নামে মিথ্যা কাবিননামা দেখানো হয়। পরে খোঁজখবর নিয়ে দেখি কাবিননামাটি জাল।আমার স্বামীর মৃত্যুর পরে ইং-৩১/০১/২০১৮ তারিখ যাহার নিবন্ধন নং-২০১০৪১১৯০৩৪১০৪৩২০। আমি উক্ত ফাহিমা ফেরদৌস এর প্রকৃত জম্মসনদ সংগ্রহ করি। যাহাতে দেখা যায় ফাহিমা ফেরদৌস এর প্রকৃত নাম ফাহিমা আক্তার তিশা, পিতার নাম অলিয়ার রহমান, ইস্যু তাং-০৫/০২/২০১৩, নিবন্ধন নং-২০১০৫৫১৬৬৩১০৩৭১২৫। আমি ওয়ারেশ কায়েম উল্লেখিত আমার স্বামীর স্ত্রী হিসাবে দেখানো রিমিকা আক্তার রিমুর সহিত দেখা করিলে তিনি উক্ত বিষয়ে কিছু জানেন না মর্মে জানান। পরে রিমিকা পারভীন বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মেম্বার সহ মিসির ব্যাপারীর পরিবারের লোকজনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন।

মিসির ব্যাপারী, মেম্বার কামরুজ্জামান ও চেয়ারম্যানের সহায়তায় অবৈধ ভাবে সম্পত্তি দখলের জন্য এবং আমার মেয়ে ফারহানা ফেরদৌস কে তার প্রাপ্ত পৈত্রিক অংশ হইতে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে উল্লেখিত ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করিয়াছে। 

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যে সকল কাগজপত্র দিয়েছি সকল কাগজপত্রই সঠিক আছে। স্থানীয়ভাবে মেম্বার যাচাই-বাছাই সহ স্বাক্ষর করে কাগজপত্র দাখিল করলে আমি উক্ত জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ কায়েম দিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *