শিক্ষকের বেত্রাঘাতে হাসপাতালে স্কুলছাত্র

Share Now..


তুচ্ছ ঘটনায় ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহতছাত্র তারেক আহম্মেদকে সোমবার সকালে বাগমারা মেডিকেল(হাসপাতালে) ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় রাজশাহীর আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

ভুক্তভোগী তারেক বাগমারা উপজেলার খামারখালি গ্রামের মালয়েসিয়া প্রবাসী আজিজুলের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পীরগাছা মডেল হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিশু তারেক আহম্মেদের শারিরীকভাবেও অসুস্থ। কোনরকম খুড়িয়ে হাঁটাচলা করে। প্রতিদিনের মত তারেক গত রোববার স্কুলে যায়। এ সময় ক্লাস নিচ্ছিলেন স্কুলের সহকারি শিক্ষক এনামুল হক। স্কুলের পাশেই নদী দিয়ে খড় বোঝাই শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকার দৃশ্য দেখার জন্য ক্লাসের কিছু শিক্ষার্থী জানালা দিয়ে উঁকি দেয়। এতে শিক্ষক এনামুল প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে কাছে পেয়ে প্রথমে তারেককেই বেত্রাঘাত শুরু করে। পরে অন্যান্য ছাত্রকেও সে বেত্রাঘাত করে। এ সময় তারেক জানাল দিয়ে উঁকি দেয়নি প্রতিবাদ করলে শিক্ষক এনামুল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তারেককে দ্বিতীয় দফায় বেত্রাঘাত করেন। এতে তারেক বেঞ্চ থেকে ছিটকে পড়েন ঘাড়ে প্রচণ্ড আঘাত পান।

শিশু তারেকের নানা একাব্বর আলী বলেন, এ জন্য আমরা বিষয়টি প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমানকে জানালে তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখান।

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক এনামুল বলেন, তিনি শিশু তারেককে সামান্য বেত্রাঘাত করেছেন। এ জন্য মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার কী আছে। ওটা তারা সাজিয়ে বলেছেন।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি তারা আমাকে জানালে আমি মিমাংসা করে দিতে চেয়েছি।

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

One thought on “শিক্ষকের বেত্রাঘাতে হাসপাতালে স্কুলছাত্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *