শিশু মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে ভাংচুর
আমিন উদ্দিন (১০) নামের এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় নাটোরের গুরুদাসপুরে হাসপাতালে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ( ১০ জুন) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উত্তেজিত জনতা ওই ভাংচুর চালায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিহত শিশুটি গুরুদাসপুর পৌরসদরের চাঁচকৈড় পুড়ানপাড়া মহল্লার মৎস্য ব্যবসায়ী রিপন আলীর ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অচেতন শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে শিশুটির স্বজনরা চিকিৎসকের নির্দেশনা না মেনে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এক পর্যায়ে শিশুটির স্বজনরা ওই নারী চিকিৎসককে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে হাসপালের চেয়ার, গেট, ট্রলি, ঝুড়ি, গ্যাস সিলিন্ডার, এ্যানালাইজার মেশিন, জানালার গ্লাসসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করেন। এসময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফা বানু বলেন, অচেতন শিশুটিকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। কিন্তু ওই সময় হঠাৎ করেই ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় হাফিজুল ইসলাম ভিখারীসহ বেশ কয়েকজন অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে তাকে মারধরের জন্য তেড়ে আসেন। এসময় তিনি হাসপাতালের আরেকটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে অবস্থান করেন। তাকে মারধর করতে না পেয়ে একপর্যায়ে ভাংচুর শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে তাকেও উদ্ধার করে।
নিহত শিশুর পিতা রিপন আলী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশের নালার পানিতে পড়ে তার সন্তান। নিজেরা খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বিকাল তিনটার দিকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক অক্সিজেন না দেওয়ায় তার ছেলেটি মারা গেছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোজাহিদুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভাংচুর চলানোর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঐ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Gaming is the ultimate escape Who else agrees Lucky Cola