শিশু সন্তানদের জন্য বাঁচতে চান হরিণাকুন্ডুর আনিচুর

Share Now..


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
দুই শিশু সন্তান মাজিদুল ও শোভা খাতুনের চোখে পানি। পিতা আনিচুর রহমান ভাঙ্গাচোরা ঘরের বারান্দায় নির্বাক হয়ে শুয়ে আছেন। শরীরে তার পানি জমেছে। মুখমন্ডল ও হাত পা ফুলে গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন উন্নত চিকিৎসায় আনিচুর ভালো হতে পারে। কিন্তু হতদরিদ্র আনিচুরে পরিবারের সেই সঙ্গতি নেই। কষ্ট করে পাঁচ সন্তানকে মানুষ করছেন। তিন মেয়ে কাকলি, শ্যামলী ও জান্নাতুলকে বিয়ে দিয়েছেন। ছেটে মেয়ে শোভা খাতুন অষ্টম শ্রেনীতে ও একমাত্র ছেলে মাজিদুল চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ে। পিতার অবর্তমানে তাদের জীবিকা নির্বাহ করাই এখন কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। মৃত্যুপথযাত্রী আনিচুর রহমান ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার শিতলী গ্রামের বদর উদ্দীন মন্ডলের ছেলে। তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন শয্যাশায়ী। স্ত্রী মাজেদা খাতুন জানান, দেড় মাস আগে স্বামীর কিডনি রোগ ধরা পড়ে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা নিরীক্ষায় চলে গেছে লাখ টাকা। এলাকার মানুষ যা কিছু দান করেছিলেন তা খরচ হয়ে গেছে। এখন প্রতি সপ্তায় কিডনি ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। আনিচুরের ভাতিজা মোহাম্মদ আলী জানান, তার ছোট চাচার মাঠে কোন জমিজাতি নেই। সামান্য পূজিঁ নিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করতেন। কিডনি রোগ ধরা পড়ার পর সব শেষ হয়ে গেছে। এখন সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে না আসলে ছোট ছোট দুটি সন্তান কার কাছে গিয়ে দাড়াবে ? স্থানীয় ইউপি মেম্বর শিতলী গ্রামের রতন সরকার জানান, আনিচুর তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। চিকিৎসা হওয়ার মতো তার কোন সঙ্গতি নেই। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান তিনি। হরিণাকুন্ডুর কাপাশহাটিয়া উনিয়নের চেয়ারম্যান শরাফুদ্দৌলা ঝন্টু জানান, আনিচুরের পরিবারকে ব্যাক্তিগত ভাবে কিছু সাহায্য করা হয়েছে। এই সামান্য সাহায্যে তার কিছুই হবে না। তিনি সরকারী ভাবে আনিচুরের চিকিৎসার দাবী জানান। আনিচুরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ০১৭২৫৬৫৮৭১৬ (বিকাশ)।

One thought on “শিশু সন্তানদের জন্য বাঁচতে চান হরিণাকুন্ডুর আনিচুর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *