শীত শুরু হতেই আফগানিস্তানে যেন নরক নেমেছে

Share Now..


আফগানিস্তানে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শরৎ মাসের উষ্ণতা ধীরে ধীরে তীব্র ঠাণ্ডায় পরিণত হচ্ছে। বেশ কিছু এলাকায় খরার খবর পাওয়া গেছে। এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

আফগানিস্তান থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের তথ্য অনুসারে, দেশটিতে দুই কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, আবহাওয়া আগের চেয়ে খারাপ হবে। যদি তা হয় তাহলে বিপুল সংখ্যক মানুষ তীব্র ক্ষুধা ও ব্যাপক দুর্ভিক্ষের হুমকির সম্মুখীন হবে।

এদিকে সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সম্পর্কিত অফিস তাদের এক রিপোর্টে জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানের ১১ মিলিয়ন মানুষকে সহায়তার আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ৬০৬ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ অর্থ পাওয়া গেছে।

গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সংস্থা এবং তাদের সহযোগীরা শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আফগানিস্তানের ৪৮ হাজার ৩৮৩ জন শিশুর কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি ৮২ হাজার ৭৬১ জনকে জরুরি আশ্রয় এবং ৪.১ মিলিয়ন মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *