‘শুধু দেশে নয়, শিশুদের জন্য আমি বিশ্বব্যাপী কাজ করে যাবো’

Share Now..

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা একাধারে শিল্পী, সুরকার, অভিনেত্রী এবং মডেল। তবে শো-বিজের বাইরে তার রয়েছে আলাদা এক কাজের জগৎ। পেশাদার উন্নয়নকর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা এই তারকা ভালোলাগার জায়গা থেকেই কাজ করেন শিশুদের নিয়ে। বর্তমানে কর্মরত আছেন ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রধান হিসেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পর তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেন, সর্বোচ্চ সিজিপিএ পেয়ে অর্জন করেন গোল্ড মেডেল। বর্তমানে জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবসকে সামনে রেখে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন এই তারকা। ইত্তেফাক অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে শিশুদের বিকাশের নানা প্রসঙ্গ।

ইত্তেফাক: আপনি একজন শিল্পী, সে পরিচয়েই আপনি সকলের কাছে সমাদৃত। এর বাইরে এসে শিশুদের নিয়ে কাজ করার কথা ভেবেছেন কখন থেকে?
মিথিলা: অনেকে মনে করেন আমি চাকরির খাতিরেই শিশুদের নিয়ে কাজ করছি। বিষয়টি এমন নয়। আমি যেহেতু অভিনয় করি, তাই এই চাকরিটা হয়তো না করলে হতো। আসলে শিশুদের জন্য কাজ করার শুরুটা ভালোবাসার জায়গা থেকেই। আমার মা একজন শিক্ষক, ছোটবেলা থেকে তাঁকে দেখেছি শিশুদের সংস্পর্শে থাকতে। নিজের প্রিয় অনেক শিক্ষককে দেখেই আমার মনে ইচ্ছা জাগত আমি বড় হয়ে ছোটদের পড়াবো। একসময় স্কুলে পড়িয়েছি। ব্র্যাকে যোগদানের পর ২০১১ সালে যখন আফ্রিকার কয়েকটি দেশে যাই, তখন সেখানকার শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা চোখে পড়ে। সেসময়টায় মনে হলো, শিশুদেরকে বুঝতে হলে তাদের ব্যাপারে আরও ভালো করে পড়াশোনা করতে হবে। ব্র্যাকের এডুকেশন প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে চাকরিটা আমি উপভোগ করছিলাম, কখনো একে গৎবাঁধা চাকরি মনে হয়নি। এরমধ্যেই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্লি চাইল্ডহুডের উপর মাস্টার্স শুরু করি। শিশুদের আচরণ, তাদের মনোভাব, মেধার উন্নয়ন, এমনকি জেনেটিকসহ মজার অনেক বিষয় জানতে পেরেছি। এই পড়াশোনাটা কেবল সার্টিফিকেটের জন্য করিনি, ভালোলাগার জায়গা থেকেই ধারণ করে নিয়েছি। এভাবে একসময় আমার কাজের বিষয়ই হয়ে ওঠে শিশুরা। এক পর্যায়ে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের দায়িত্ব পাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *