শৈলকুপায় আওয়ামীলীগ কর্মী আটকের ঘটনায় থানা ঘেরাও, ভাংচুর, অর্ধশতাধিক পুলিশের গুলি, পুলিশ সহ আহত ৩০
\ বিশেষ প্রতিনিধি, শৈলপকুপা \
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে বেশ কিছুদিন ধরে নির্বাচন পরবর্তী বিজয়ী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জেরে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক মুস্তাক শিকদার নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে পুলিশ আটকের ঘটনায় থানা ঘেরাও ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি রবিবার বেলা ৩টার শৈলকুপা থানা চত্বরে। এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অর্ধশতাধিক রাউন্ডের বেশী টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটায়। হামলাকারীদের ইটের আঘাত ও পুলিশের গুলি বর্ষণে পুলিশসহ ৩০ ব্যক্তি আহত হয় বলে জানা গেছে। আহতদের শৈলকুপা ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ আটক মুস্তাক শিকদার এজাহারভূক্ত আসামী। মুস্তাক শিকদার ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের মৃত আব্দুস সাত্তার শিকদারের ছেলে ও নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফ রেজা মন্নুর সমর্থক। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার (৯ জুন) সকালে ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের একটি হামলার ঘটনায় এজাহারভূক্ত আসামী মুস্তাক শিকদারকে আটক করে পুলিশ। আটক মুস্তাককে পুলিশ থানা থেকে ছেড়ে না দেওয়ায় মুস্তাক সমর্থক আওয়ামীলীগ কর্মীরা বেলা ৩টার দিকে থানা ঘেরাও ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটনায়। এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অর্ধশতাধিক রাউন্ডের বেশী টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় হামলাকারীদের ইটের আঘাত ও পুলিশের টিয়ারসেল ও রাবার বুলেটের আঘাতে হামলাকারী ফিরোজ শিকদার, আলী আকবর, হাজি শিকদার, রাজিব, আজগর, তুহিন, নাফিস, সালামত, মুইম, জান্নাত হোসেন, আসাদুজ্জামান, সাইফুদ্দিন, সাত্তার শিকদার, ইমন শিকদার, আব্দুস সাত্তার, ফারুক ও জলিল এবং পুলিশ সদস্য ফিরোজ, হাসান, সোহান, ইমরান সহ অন্ততপক্ষে ৩০ ব্যক্তি আহত হয় বলে জানা গেছে। পুলিশের অভিযোগ হামলাকারীরা মেয়র কাজী আশরাফুল আজম ও নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর সমর্থক। হামলার ঘটনায় নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু বলেন, তিনি ঘটনার কোন কিছুই জানেন না। হামলার সময় তিনি ঝিনাইদহে অবস্থান করছিলেন বলে জানান। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম চৌধূরী বলেন, মুস্তাক থানার এজাহারভূক্ত আসামী। তাকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীরা থানায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে বলে জানান। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।