শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নারী সহ আহত ২০
\ বিশেষ প্রতিনিধি, শৈলকুপা \
হত্যা ও ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশীনাথপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা। সংঘর্ষে নারী সহ উভয় পক্ষের ২০ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।
আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ওমর মন্ডল, রোজিনা খাতুন, সাদ্দাম মন্ডল, তুহিন খান, মসলেম খান, হুসাইন, আসলাম খান, নিজাম খান,সেলিম খান, তাইজাল খান, কুলসুম বেগম সহ ২০ ব্যক্তি আহত হয়।
জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার ও শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের পক্ষে দুইভাগে বিভক্ত। গত বছরের জুলাই মাসে নায়েব আলী সমর্থক সাইফুল ইসলামের ছেলে রানাকে (১৭) কুপিয়ে হত্যা করে মতিয়ার রহমান পক্ষের ইউপি সদস্য আকমাল হোসেন ও বাবলু খানের সমর্থকরা। এ ঘটনায় ৩৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে সাইফুল ইসলাম।
অপর পক্ষে কাশীনাথপুর গ্রামে গত ১৫ দিন আগে ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান পক্ষের একটি ধর্ষণ মামলায় আসামী হয় সাইফুল ইসলাম পক্ষের মতিন খানের ছেলে সাব্বির খান (১৭) সহ দুই জন।
আওয়ামীলীগ কর্মী সাইফুল ইসলামের অভিযোগ করেন সে ও তার সমর্থকরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমানের প্রতিপক্ষ। গত জুলাই মাসে কলেজ থেকে ফেরার পথে তার একমাত্র পূত্র রানাকে কুপিয়ে হত্যা করে কাশীনাথপুর গ্রামের মতিয়ার সমর্থকরা। এ ঘটনায় তিনি ৩৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু অধিকাংশ আসামীরা বর্তমানে জামিনে মুক্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে। গতকাল শনিবার সকালে তিনি গ্রামেই ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে আসার পথে হত্যা মামলার আসামী বাবলু খান, সেলিম খান, মনিরুল ইসলাম, সুজাত খান, নিজাম খান সহ আরো অনেকে তার উপর হামলা চালায়। তখন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি ও হামলার কথা অস্বীকার করে বাবলু খান বলেন, তার প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলামের সমর্থক মতিন খানের ছেলে সাব্বির খান সহ দুই যুবকের নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয় শৈলকুপা থানায়। এ মামলা তুলে নিতে সাইফুল ইসলামের সমর্থকরা ধর্ষণ মামলার বাদী আওয়ামী লীগ কর্মী লিটন খানের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান বলেন, কাশীনাথপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে বেশ কয়েক ব্যক্তি আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুশি ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।