শৈলকুপায় কলেজ ছাত্রী তিথিকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা!

Share Now..

\ স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ \
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই কলেজের ছাত্রী আইরিন আক্তার তিথিকে পাশবিক নির্যোতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মনে করছে। তিথির লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে গতকাল সোমবার বিকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে ধর্ষনসহ নির্যাতনের নানা তথ্য উঠে এসেছে। রোববার বিকালে শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামের একটি কলাক্ষেত থেকে তিথির গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে তিথির লাশ উদ্ধারের পর প্রতিবেশি কালু ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ির মালামালসহ পালিয়ে গেছে। এতে পুলিশের ধারণা কালু এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। পরিবারের দাবী গত ২০ সেপ্টম্বর সন্ধ্যায় ০১৯০৮-৪৬২৬৬১ নাম্বার থেকে ফোন পেয়ে তিথি প্রতিবেশি কালুর বাড়িতে যায়। সেই থেকে কলেজ ছাত্র তিথি নিখোঁজ ছিল। গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শৈলকুপা থানায় তিথির পিতা মিঠু জিডি করে। এরপর বিকালে তার লাশ উদ্ধার হয়। মা রেখা বেগম অভিযোগ করেন, শৈলকুপার ফুলহরি ইউনিয়নের ভগবাননগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রাকিব প্রায়ই তাদের মোবাইলে ফোন করে হুমকী দিত। তার সঙ্গে তিথিকে বিয়ে না দিয়ে ক্ষতি হবে বলে শাসাতো। প্রতিবেশি কালুর দিয়ে ডেকে নিয়ে তিথিকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হতে পারে বলে তিথির মা অভিযোগ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার এসআই মনিরুজ্জামান হাজরা জানান, তিথি হয়তো আরে দুই দিন আগেই নিখোঁজ হয়েছিল। কারণ দুই দিনে লাশ পচে যাওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে এটা ঠিক, তবে ধর্ষনের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর সব কিছু জানা যাবে। তিনি বলেন, পুলিশের সন্দেহের তালিকায় বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রতিবেশি কালু। তাকে গ্রেফতার করা গেলে তিথি হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার সম্ভব হবে। এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পুলিশ পুরো ঘটনাটি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষন করছে। ২/১ দিনের মধ্যেই তিথি হত্যার সঙ্গে জড়িতরা গ্রেফতার হবে বলে তিনি আশা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *