শৈলকুপায় লোডশেডিং ও গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ
\ বিশেষ প্রতিনিধি, শৈলকুপা \
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বেড়েছে লোডশেডিং। দিনে দিনে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র গরম। একদিকে প্রখর রোদে ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। দিন-রাত মিলে প্রায় ৫ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। একদিকে ফসলের মাঠে সেচ সমস্যা, অপরদিকে গরমের প্রভাবে শৈলকুপা হাসপাতালে বেড়েছে শিশু ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের উপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়াও তীব্র গরমে বিদ্যুৎ না পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে স্থানীয় জনজীবন। হাসপাতালে ভর্তি ডায়রিয়া রোগীর স্বজন আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার ভাতিজাকে নিয়ে আজ ২দিন হাসপাতালে ভর্তি আছি । রাতদিন মিলে ৮-১০ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে চরম কষ্টে আছি। অসুস্থ রোগী নিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছি। পৌর এলাকার বাসিন্দা মতিয়ার রহমান জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে খুবই কষ্টে আছি। তীব্র গরমে ঘন ঘন লোডশেডিং, জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। প্রতিদিন ৮-১০ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। একবার গেলে আধাঘণ্টা-একঘণ্টা আসে না। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির মোটর চালান সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলার মাঠপাড়া এলাকার কৃষক আঃ করিম বলেন, একদিকে কৃষি জমিতে পানি সংকট, অন্যদিকে দিন-রাত মিলে ৮-১০ বার লোডশেডিংয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় জমিতে সঠিক সময়ে পানি সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ সোহেলী ইসলাম বলেন, তীব্র গরম ও লোডশেডিং এর কারণে হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা খুবই কষ্টে আছে। অসুস্থ’ রোগীরা গরমে ছটফট করছে। এভাবে লোডশেডিং হলে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে। জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি তাই লোডশেডিং হচ্ছে। শুধু এই উপজেলাতেই না সারা বাংলাদেশে লোডশেডিং হচ্ছে।