শৈলকুপার তরুন কবি জাকারিয়ার দুটি কাব্যগ্রন্থ

Share Now..

শাহীন আক্তার পলাশ, শৈলকুপা প্রতিনিধি:

একুশে বই মেলায় ঝিনাইদহের শৈলকুপার তরুন কবি জিএম জাকারিয়া হাসনাতের দুটি কাব্যগ্রন্থ
প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনা সংস্থা পথ প্রকাশন ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা’ এবং
‘একটি ব্যাথা নদী’ নামে এ দুটি বই প্রকাশ করেছে। বই দুটির প্রচ্ছদ
করেছেন শিল্পী মনিরুজ্জামান পলাশ। এবারের বই মেলায় ৪৭১ নং অনুভব প্রকাশনীর
স্টলে তরুন কবি জিএম জাকারিয়া হাসনাতের বই দুটি ঠায় পায় ।
তরুণ কবি জাকারিয়া জানান, ‘একটি ব্যাথার নদী’ কাব্যগ্রন্থে ৫৪টি কবিতা
স্থান পেয়েছে। কবিতায় ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রাণ-প্রকৃতির
নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সহজ-সরল ভাষায় প্রকাশিত ৬৪ পৃষ্ঠার এ কবিতার
বইটির মূল্য ধরা হয়েছে ২শত টাকা। এছাড়া ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা’ শিরোনামের
বইটিতে স্থান পেয়েছে মাত্র ১টি কবিতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পূর্বপূরুষ থেকে শুরু করে তাঁর
জন্ম, শৈশব, কৈশোর, যৌবনের নানান ঘটনা, ছাত্রজীবন, পারিবারিক,
রাজনৈতিক জীবনের নানা টানাপোড়েন উঠে এসেছে কবিতাটিতে। দীর্ঘ
৬৪৭০ লাইনের ২৪০ পৃষ্ঠার এ কবিতাটিতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের
সম্পর্কে বিস্তৃত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও জাতির
কর্ণধার হয়ে ওঠার নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে কবিতাটিতে। ২৪০ পৃষ্ঠার বইটির
মুল্য ৪৫০ টাকা।
সহজ কথায় ও ছন্দে রচিত দীর্ঘ ও বিস্তৃত বর্ণনার এ কবিতাটিকে লেখক
মহাকাব্য হিসেবে দাবি করেছেন।
তরুন কবি জিএম জাকারিয়া হাসনাত ১৯৮০ সালে ২২ আগস্ট ঝিনাইদহ জেলার
শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম হাশমত আলী
মাগুরার শ্রীপুর ডিগ্রী কলেজে অধ্যাপনরত অবস্থায় ২০০১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার
মাতা গুলশান আরা শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক। দুই
ভাই বোনের ভেতরে তিনি বড়। জিএম জাকারিয়া দশম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায়
কবিতার হাতে খড়ি। তিনি ১৯৯৬ সালে এসএসসি ও১৯৯৮ সালে ঢাকার নটরডেম
কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চিকিৎসা
অনুষদের আওতাধীন ব্যাচেলর অফ ফিজিওথেরাপী(বিপিটি) কোর্স সম্পন্ন করেন
সিআরপির অন্তর্গত বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনিস্টিটিউট থেকে। বর্তমানে
চিকিৎসা পেশা ও লেখালেখির সাথে জড়িত। ছাত্রজীবনে ‘প্রতীত’ নামে প্রথম
কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয, যা বহুল প্রশংসা পায় এলাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *