শৈলকুপার ধাওড়া গ্রামের আজাদকে পিটিয়েশ^াসরোধ করে হ*ত্যার চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ধাওড়া গ্রামে আবুল কালাম আজাদ নামে এক গার্মেন্টস কর্মীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখমের পর শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় মামলা হলেও আসামীরা প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়া”েছ। অন্যদিকে বাদী আবুল কালাম আজাদ মামলা করে হয়েছেন বাড়িছাড়া। তিনি কোন ভাবেই নিজ গ্রামে যেতে পারছেন না বলে অবিযোগ করেন। মামলা এজাহার সুত্রে জানা গেছে, শৈলকুপার ধাওড়া গ্রামের আব্দুল মালেক জোয়ার্দ্দারের ছেলে আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন ঢাকার গার্মেন্টসে চাকরী করার সুবাদে বাড়িতে আসতেন কম। এই সুযোগে তার পৈত্রিক সম্পত্তি বেদখল করেন তার আপন ভাই ও শরীকের লোকজন। চার মাস আগে তিনি চাকরী ছেড়ে ¯’ায়ী ভাবে নিজ গ্রামে চলে আসেন। বাড়ি এসে পাকা ঘর তৈরী করতে চাইলে বাধা দেন মামলার প্রধান আসামী শহিদুল, ওহিদুল, বর্ষা খাতুন, মাজেদুল, মফিজুল. মালা খাতুন, বৃষ্টি খাতুন ও আলো জোয়ার্দ্দর। বাড়ি নির্মানে বাঁধা পেয়ে তিনি গ্রামের মাতুব্বরদের ডেকে ঘটনাটি মিমংশা করে নেন এবং বসতবাড়ির দক্ষিন-পুর্ব দিকে বাড়ি তৈরী করে বসবাস শুরু করেন। গত ৭ মে রোববার বিকাল ৩টার দিকে আবুল কালাম আজদ নিজ ঘর সংলগ্ন জমিতে তরিতরকারী আবাদের প্র¯‘তি নিতে কোদাল দিয়ে জমি প্র¯‘ত করছিলেন। এ সময় আসামী শহিদুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার আকস্মিক ভাবে লোহার রড এনে মাথায় আঘাত করতে উদ্যোত হন। তিনি মাথা সরিয়ে নিলে লোহার রড ডান হাতে লাগে এবং হাতটি ভেঙ্গে টুকরো হয়ে যায়। এরপর আসামী ওহিদুল, মাজেদুল, মালা খাতুন, বৃষ্টি খাতুন ও বর্ষা খাতুন জোটবদ্ধ হয়ে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখমের পর শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। বাদীর ঘুরে ঢুকে তারা আসবাবপত্র ভাংচুর ও টাকা পয়সা লুটপাট করে। এতে নগদ অর্থসহ প্রায় লাক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়। মৃত ভেবে আবুল কালাম আজাদকে আসামীরা ফেলে চলে গেলে তার গোঙ্গানীর শব্দে সাক্ষি শাহিনা খাতুন ও মলিনা বেগম ডাক চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে আবুল কালাম আজাদকে মুমুর্ষ অব¯’ায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চারদিন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহনের পর তিনি ভয়ে শৈলকুপা থানায় মামলা করতে পারেনি। গত ১৫ মে আবুল কালাম আজাদ শৈলকুপা আমলী আদালতের বিজ্ঞ মেজিষ্ট্রেট মেঘা গুপ্তার আদালতে নালিশী দরখাস্ত দাখিল করেন। অভিযোগ পর্যালোচনা করে বিজ্ঞ বিচারক নালিশী দরখাস্তটি এজাহার হিসেবে গত্য করে তিন কার্য দিবসের মধ্যে আদালতকে অবগত করার নির্দেশ প্রদান করেন। আাদালতের নির্দেশ পেয়ে শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম গত ২১ মে মামলাটি রেকর্ড করেন। এদিকে মামলা রেকর্ড করলেও এখনো আসামী অধরাই রয়ে গেছে। আসামীরা বাদীর বাড়ি গিয়ে প্রতি নিয়ত হত্যার হুমকী দি”েছ। ফলে বাদী মামলা করে এখন পালিয়ে বেড়া”েছন বলে অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা থানার ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাস মন্ডল জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) হামিদুল ইসলামকে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য বলা হয়েছে। হয়তো আসামীরা গাঢাকা দিয়ে আছে। তিনি বলেন, মামলা যখন রেকর্ড হয়েছে তখন আসামীরা রেহাই পাবে না।
Test your strategy and outwit opponents in our online arenas Lucky cola