শৈলকুপার হাট-বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল সংকট,
বোতলজাত তেল ভেঙে ব্যারেলে, দোকানিরা খোলা তেল হিসেবে দ্বিগুনদামে মেপে বিক্রি করছে
শৈলকুপা প্রতিনিধি ঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপার সয়াবিন তেল সংকট দেখা দিয়েছে সেই সাথে সাধারণ মানুষের মাঝে শুরু হয়েছে হাহাকার।খোলা তেলের দাম বেশি হওয়ায় ‘বোতলের তেল ভেঙে’ দোকানিরা খোলা তেল হিসেবে মেপে বিক্রি করছেন। তেল কিনতে না পেরে খালি হাতে বাড়ি ফিরছে অনেকে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে শৈলকুপার হাট-বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল খুজে পাওয়া যাচ্ছে না আর বোতলজাত ১ লিটারের সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও তার পরিমান খুবই কম। বাড়তি মুনাফার জন্য বোতলজাত তেল খুলে ব্যারেলে ঢেলে তা বেশি দামে বিক্রি করছে। শৈলকুপার কবিরপুরে রয়েছে এক ডজনের বেশী মহাজন। তাদের গুদাম ভর্তি ব্যারেল ব্যারেল তেল রয়েছে। শংকর কুন্ডু, রাজু কুন্ডু, মন্টু সাহা, মাসুম সাহা সহ ভোজ্য তেলের বড় বড় মহাজন রয়েছে। তারা বলছেন, খোলা তেল কিছু কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশি। বড় বড় মহাজন, ডিলার আর ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ সহ উপজেলা শহরের ডিলারদের বিভিন্ন গুদাম আর ঘর ঘুরে দেখা গেছে তাদের হাতে আসা কোন বোতলজাত তেল নেই তবে ব্যারেল ব্যারেল খোলা সয়াবিন তেল রয়েছে। অনেকের অভিযোগ তেলের দাম বাড়ার কারণে অনেক ডিলার বোতলজাত তেল কেটে ব্যারেল আর ড্রাম ভর্তি করে রেখেছে। একই কাজ করে চলেছে বড় বড় ব্যবসায়ীরা। তারা ডিলারদের কাছ থেকে বোতলজাত তেল নিয়ে তা কেটে ড্রাম ভর্তি করে খোলা তেল হিসাবে মেপে মেপে কেজি প্রতি ইচ্ছামতো দাম হাকিয়ে বিক্রি করছে ।
এদিকে অনুসন্ধানে মিলছে সয়াবিন কারসাজির আরো বড় চক্রের সন্ধান। শৈলকুপা উপজেলাতে দেশের বড় বড় কোম্পানীর রুপচাঁদা, তীর, বসুন্ধরা, ফ্রেস সহ অন্যান্য কোম্পানীর বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়ে আসছে। তবে এসব কোম্পানীর ডিলারদের হাতে বোতলজাত ২লিটার, ৫লিটার এর কোন তেল নেই ।
শৈলকুপার গাড়াগঞ্জে সরকার ট্রেডার্সের মালিক সঞ্জয় সরকার রুপচাঁদা সয়াবিনের ডিলার, মো: সেলিম ফ্রেশ সয়াবিনের ডিলার, শেখপাড়ার আব্দুল হামিদ তীর সয়াবিনের ডিলার, শৈলকুপা শহরে রয়েছে বসুন্ধরার ডিলার বিপ্লব সাহা । রয়েছে আরো বিভিন্ন কোম্পানীর সয়াবিন তেলের ডিলার ।
উপজেলার কবিরপুরের শওকত আলী বলেন, খোলাবাজারে এসব তেল খুঁচরা ব্যবসায়ীরা যে যেমন দামে বিক্রি করে চলেছে।বোতলের তেল ভেঙে ব্যারেলে দোকানিরা খোলা তেল হিসেবে দ্বিগুনদামে মেপে বিক্রি করছে । এতে সাধারণ গ্রাহকরা প্রতারিত হচ্ছে। আসলে সেসব খোলা তেল নয়, বোতল থেকে খুলে খোলা তেল হিসেবে বিক্রি করছেন, যা লিটারে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায়।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, এভাবে তেল বিক্রি করার কোন আইনহত বৈধ্যতা নেই। ইতিমধ্যে এসি ল্যান্ড অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। আমি সরেজমিনে দেখে এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।