শৈলকুপায় আওয়ামীলীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৩, বাড়ি-ঘর ভাংচুর, ১৪ রাউন্ড বারার বুলেট নিক্ষেপ
শৈলকুপা প্রতিনিধি ঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পৌর শহরে আওয়ামীলীগের দুগ্রুপে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও বাড়ি-ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে শৈলকুপা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মেয়র কাজী আশরাফুল আজম ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান ইকুর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ৩ ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতরা শৈলকুপা ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার রাতে চৌরাস্তা মোড়ে ইকু সমর্থক উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান ভুট্টোকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা অপরদিকে মেয়র সমর্থক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ সভাপতি জাহিদুন্নবী কালু ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয় ।এরই জেরে বুধবার সকালে উভয় গ্রুপ এর কর্মী সমর্থকরা ঢাল-সড়কি ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মহড়া ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করলে পুলিশ ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এরপর ঝিনাইদহ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমান শৈলকুপা শহরে উভয় গ্রুফের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান ইকু বলেন,অন্যায়ভাবে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান ভুট্টোকে কুপিয়ে জখম করে মেয়র সমর্থকরা। যার ফলে এলাকায় কিছুটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।বর্তমান আমি ঢাকায় আছি। আমার কর্মী সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছি।
মেয়র সমর্থক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ সভাপতি জাহিদুন্নবী কালু বলেন, আমি মেয়র সমর্থক হওয়ায় আমার মোটর সাইকেলসহ বাড়ির ভিতরে ঢুকে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষরা। আমি এর বিচার চাই।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে । যে কোন পরিস্থিতি পুলিশ কঠোর হাতে দমন করবে।