শৈলকুপায় কাঁঠালের ফলন ভাল হলেও দামে হতাশ বাগান মালিকরা
শৈলকুপা প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কাঁঠালের ফলন ভাল হওয়ায় বাজার বেশ জমে উঠলেও দামে হতাশ বাগান মালিকরা। হাসিমুখে কাঠাল নিয়ে বাজারে আসলেও বিক্রি শেষে ফিরে যেতে হচ্ছে বিষন্ন মন নিয়ে। দেশের কাঁঠাল উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোর মধ্যে শৈলকূপা অন্যতম। উপজেলা সদর থেকে প্রতিহাটে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক কাঁঠাল যায় দেশের বিভিন্ন জেলায়। সাপ্তাহিক হাটের আগের দিনেই বেপারী, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ভিড় জমান এখানকার হাট-বাজারে। গত বছরের তুলনায় এবছরে বাগান মালিকরা ভালো দাম পাচ্ছেন না।
গত বছরের চেয়ে কাঁঠালের পাইকারী বাজারে দাম শতকরা ৪০ থেকে ৫০ ভাগ কম বলে ব্যাপারিরা জানায়। শৈলকুপা হাটে সপ্তাহে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের কাঁঠাল কেনাবেচা হচ্ছে। প্রতিমাসে এ হাটে আনুমানিক কোটি টাকার কাঁঠাল কেনাবেচা হয়ে থাকে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রচুর কাঁঠাল বেচাকেনা হয়ে থাকে।
শৈলকুপা উপজেলা সদরের হাটে দেখা যায়, কাঠাল বিক্রেতারা কাঁঠাল সাজিয়ে বসে আছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ব্যাপারীরা দাম দর করে সেগুলো কিনছে। বাজারে ছোট, মাঝারী ও বড় বিভিন্ন সাইজের কাঁঠাল দেখা যায়। ট্রাক, নসিমন ছাড়াও বিভিন্ন যানবাহনে ব্যাপারীরা কাঁঠাল উঠানোর কাজে ব্যস্ত। এবার প্রতি ১০০ পিস কাঁঠাল সাইজ অনুসারে ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগের বছরের তুলনায় এবার চাহিদা কম থাকায় দামও কম।
কাঁঠাল বিক্রি করতে আসা উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের চাষি শহিদুল ইসলাম জানান, তার ২০টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। তার গাছের প্রতি ১০০ পিস কাঁঠাল গড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান,দাম বেশী পাবে বলে আশা ছিল কিন্তু এবছর দাম একেবারেই কম তাই এমন দামে তারা হতাশ।
যশোর থেকে আসা ব্যাপারী মজিবর রহমান বলেন শৈলকুপায় কাঁঠালের আমদানী এবার অনেক বেশী দামও তুলনামূলক অনেক কম তাই এখান থেকে কাঁঠাল ক্রয় করতে এসেছি।যশোর থেকে আসা ব্যাপারী মফিজুল ইসলাম বলেন এখানে ভালমানের কাঁঠাল পাওয়া যায় তাই কাঁঠাল কিনতে এসেছি।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ কর্মকর্তা আবুল হাসনাত বলেন, শৈলকুপায় ৩৫০ হেক্টরের বেশি জমিতে কাঁঠালের চাষ হয়েছে। এসব জমি থেকে পাওয়া যাবে আনুমানিক ২০ হাজার টন কাঁঠাল।
কাঁঠালের ফলন ভাল হওয়ায় সেই সাথে পর্যাপ্ত আমদানির কারনে এভাবে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপারীরা আসে শৈলকুপায় কাঁঠাল কিনতে। তবে এবছর আশানারুপ দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে চাষীরা।