শৈলকুপায় ষাটের দশকের ব্রীজটি ভেঙ্গে গেছে, ১২ বছরেও সংস্কার হয়নি

Share Now..

শৈলকুপা(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি ঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জিকে (গঙ্গা-কপোতাক্ষ) সেচ প্রকল্পের খালের একটি ব্রীজ এর মাঝখানের একটা অংশ গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ভেঙে পড়ে আছে । হাটফাজিলপুর- নিত্যানন্দনপুর বাওড় সড়কের গোলকনগর এলাকার জিকে খালের উপর ব্রীজটির অবস্থান। আজও সংস্কার হয়নি ব্রীজটি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এখন ব্রীজটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এনিয়ে অনেকবার সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে ধরণা দিয়েও কোন কাজ হয়নি বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ।ব্রীজটি সংস্কার না হওয়ায় জনদূর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে।
জানা যায়, ষাটের দশকে এই ব্রিজটি নির্মিত হয়। ৩০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়কে খালের উপর এই ভাঙ্গাচোরা জি কে ব্রীজ। ব্রীজের দক্ষিণে নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়ন ও উত্তরে আবাইপুর ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩০টি গ্রাম। পাশেই রয়েছে বিশাল হাটফাজিলপুর বাজার। এই ব্রীজ দিয়েই যেতে হয় শৈলকুপা উপজেলা শহর হয়ে জেলা পর্যন্ত। । তাই প্রতিদিন তাদের ব্যবসা-বানিজ্য সহ নিত্য প্রয়োজনে এই ব্রীজের উপর দিয়ে যাতায়াত ও মালামাল বহন করতে হয়। দীর্ঘ ১ যুগেরও বেশী সময় এই ব্রীজটির মাঝখানের অংশ ভেঙে যাওয়া ও রেলিং না থাকায় পথচারী সহ যানবাহন চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দিনে কোনরকম পার হলেও রাতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, এর আগে ব্রীজের নীচে পড়ে যেয়ে প্রাণহানির মত ঘটনাও ঘটেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বহু বছরের পুরাতন হওয়ায় মানুষের চলাচলে মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ব্রীজটি। ব্রীজটির ঠিক মাঝখানে ১৫ফিট লম্বা ও ১০ফিট চওড়া হয়ে ভেঙ্গে গেছে। একটি অংশে বাশের চরাট বানিয়ে কোন রকম চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। ব্রীজটির কোন রেলিং নেই। বড় কোন যানবাহন চলাচলের উপায় নেই।পথচারীরা কোন রকম পায়ে হেটে চলাচল করছে। দেখেই মনে হয় যে কোন সময় আবার বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
নিত্যানন্দনপুর এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্র্রীজটি ভেঙে যাওয়ায় মালামাল নিয়ে বাজারে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়, অনেকদূর ঘুরে মালামাল হাটে নিতে হয়, এতে পরিবহন খরচও বেড়ে যায়। ব্রীজটি সংস্কার না হওয়ায় আমরা অনেক সমস্যায় আছি। কিছুদিন আগে এই ব্রীজ থেকে পড়ে লোকও মারা গেছে।
শৈলকুপার আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন মোল্লা বলেন, জিকে খালের উপর অবস্থিত এই ব্রীজটি ভেঙ্গে ১২বছর হলেও, সংস্কার হয়নি। এই ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন ২০ গ্রামের কমপক্ষে ৫০ হাজার লোকজন চলাচল করে থাকে । এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজ হওয়া স্বত্ত্বেও দিনের পর দিন সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে ।যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিকর্ণ সাহা বলেন, এই ব্রীজের ব্যাপারে জিকে আইপি প্রজেক্টে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, প্রজেক্ট এখনো পাশ হয়নি। অচিরেই ফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ তাদের । এছাড়াও শৈলকুপা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমেও কাজটি করার জন্য চেষ্টা করছেন ।
যত দ্রুত সম্ভব ব্র্রীজটি সংস্কার করে জনদূর্ভোগ ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *