শৈলকুপা পাইলট স্কুলের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে জমকালো ঈদ পুনর্মিলনী
\ বিশেষ প্রতিনিধি, শৈলকুপা \
১৩১ বছর পর ঝিনাইদহের শৈলকুপা সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে ফিরে গেছেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা। ঈদুল আযহার পরের দিন মঙ্গলবার স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী। এখানে এসে উচ্ছ¡াসে মেতেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। পুনর্মিলনী উৎসবে অংশ নেওয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্মৃতি ধরে রাখলেন ছবি তুলে। দীর্ঘ বছর পর বাল্যকালের বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতেই কেমন আছো বন্ধু ? এভাবে কুশল বিনিময় শুরু হয়। চলে আলাপচারিতা আর পারিবারিক ও কর্মস্থলের গল্প। কেউ কেউ ফিরে যান বিদ্যালয় জীবনের মজার স্মৃতির কথায়। প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় জমজমাট হয়ে উঠেছিল শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সবুজ মাঠ। বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর প্রথমবারের মতো আয়োজিত অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এরপর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের এসএসসি ৮২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আয়োজক কমিটির সভাপতি বর্তমান বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান। পর্ব উপস্থাপনা ও পুরা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র সিনিয়র এসপি কাজী আশরাফুল আজিম। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আয়োজনের ফাঁকে ফাঁকে আড্ডায় মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় পর্বে প্রাক্তন বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরিচয় ও স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বছরের শিক্ষার্থীরা তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন কাজী আশরাফুল আজিম। বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার, মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য পারভীন জামান কল্পনা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু, মেয়র কাজী আশরাফুল আজম, স্কুলের সাবেক শিক্ষক এস এম কোবাদ আলী, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝিনাইদহ জজ কোর্টের পিপি ইসমাইল হোসেন,শৈলকুপা কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক বিমল সাহা, সাবেক সচিব মীর শাহাবুদ্দিন, আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ নাসির উদ্দিন, যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ হাসানুজ্জামান,আব্দুল কুদ্দুস, রেজাউল ইসলাম রাজু, প্রধান শিক্ষক মহিদুল ইসলাম, ডাঃ রেজাউল ইসলাম, কামরুজ্জামান টিপু, আব্দুল্লাহ আল মামুন শাওনসহ অনেকে। নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ১৯৮৪ এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ নাসির উদ্দিন বলেন, জীবনে এ রকম একটা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’ আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আজকের দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ ৯১ ব্যাচের প্রাক্তণ শিক্ষার্থী ও ঢাকাতে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের সিনিয়র এসপি কাজী আশরাফুল আজিম বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও এ আয়োজনটা করতে পেরে মনের কাছে অসম্ভব ভাল লাগছে। ভবিষ্যতে আমরা সবাইকে নিয়ে আরো সুন্দর পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো সেইসাথে এ আয়োজন ধারাবাহিকভাবে করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করব। আয়োজনে অংশগ্র্রণকারী সবার জন্য টি শার্ট, ওয়াল লেট, চাবির রিং সেইসাথে আপ্যায়নে ছিল দুপুরে উন্নতমানের খাবার। র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে আকর্ষণীয় ৫০টি পুরস্কার। এছাড়াও বিকালে জম কালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন শিল্পীদের গানে মুখরিত হয়ে উঠে বিদ্যালয়ের আশপাশ। গভীর রাত পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সেইসাথে বিভিন্ন ব্যাচের শত শত প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর ছিল শৈলকুপা পাইলট হাইস্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ।
Amazing! Its in fact awesome piece of writing, I have got much clear
idea on the topic of from this article.