শ্রীলংকানকে পুড়িয়ে হত্যা: পাক সরকারের নিন্দায় মানবাধিকার সংস্থাগুলো
“ধর্ম অবমাননার অভিযোগে” শ্রীলঙ্কার এক ব্যক্তিকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) শুক্রবার ।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানিয়েছে, বেসরকারি কারখানার শ্রমিকরা তাদের ব্যবস্থাপকের ওপর হামলা করে এবং তাকে হত্যার পর তার লাশ পুড়িয়ে দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে যে, অনেক মানুষ সেই স্থানে জড়ো হয়েছে। কিছু ভিডিওতে লোকজনকে “লাব্বাইক ইয়া রাসুল আল্লাহ” স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এইচআরসিপি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শিয়ালকোট জনতা যে অকল্পনীয় বর্বরতার সাথে একজন শ্রীলঙ্কার ব্যক্তিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এবং তার দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে তা পাকিস্তানে উগ্রপন্থীকরণের ভয়াবহ বাস্তবতাকে বিশ্বের সবার সামনে তুলে ধরেছে।”
ইমরান খান সরকারের নিন্দা করে এইচআরসিপি জানায়, “আমরা ঘটনার অবিলম্বে স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করছি। শুধু অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে না, রাষ্ট্রকেও অতি-ডানপন্থী উপাদানের সাথে তার যোগসাজশ বন্ধ করতে হবে।” অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শিয়ালকোটে শ্রীলঙ্কার একজন কারখানার ম্যানেজারকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগের কারণে হত্যার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্ত পরিচালনা করতে হবে এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করতে হবে। পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার ক্রমবর্ধমান ঘটনা অধিকার কর্মীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানে হাজার হাজার ধর্ম অবমাননার মামলা নথিভুক্ত করেছে, যেগুলোর বেশিরভাগই ১৯৮৭ সাল থেকে আজ অবধি হিন্দু, খ্রিস্টান, শিয়া এবং আহমদিয়া মুসলমানদের মতো ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘটেছিল।