শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতিতে বিশ্ব ব্যাংকের উদ্বেগ

Share Now..

চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়া শ্রীলঙ্কায় সরকার হঠানোর আন্দোলন হঠাৎ করেই সহিংস হয়ে উঠেছে। মাহিন্দা রাজাপাকসের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরেও দেশটিতে বিক্ষোভ এখনও থামেনি। এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তা ফারিস এইচ. হাদাদ-জেরভোস এক টুইটে বলেন, শ্রীলঙ্কায় সহিংসতার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তারা দেশটির তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।

বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার উত্তর পূর্বে ত্রিঙ্কোমালির অত্যন্ত সুরক্ষিত নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটির সামনে জড়ো হয়েছে, কারণ এরকম একটা খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে মাহিন্দা রাজাপাকসে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

সোমবার (৯ মে) তার পদত্যাগের পর ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় একজন সরকার দলীয় এমপিসহ কমপক্ষে ৭ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। মানুষজন কারফিউ ভেঙে রাজধানী কলম্বোতে রাস্তায় নেমে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ায় পদত্যাগ দাবি করছে।

শ্রীলঙ্কায় লুটপাট, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর বা অন্যের ওপর হামলা করতে দেখলে নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ জারি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের ভবন অবরোধ করে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছে। তারা বলছে, গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ থামবে না।

গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে কয়েক ঘণ্টা ধরে চরম বিশৃঙ্খল এবং সহিংস পরিবেশ তৈরি হয়। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মাহিন্দা রাজাপাকসের সরকারি বাসভবনের প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করে, তার বাড়ির কিছু অংশে আগুন দেয়।

সরকারদলীয় এমপিদের ৫০টিরও বেশি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। কাঁদানে গ্যাস আর জনতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ছোঁড়া গুলির মধ্যেই ভোরের আলো ফোটার আগে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত সৈন্যরা মাহিন্দা রাজাপাকসাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *