সংবাদমাধ্যমকে দূরে রাখল বাফুফে
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে একটা দেশের জাতীয় ফুটবল দল বিদেশে যাবে খেলতে অথচ তারা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। সংবাদমাধ্যম খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে পারবে না। আজ দুপুরের আগেই কাতারে যাওয়ার বিমানের পেটে ঢুকবে ফুটবলাররা। ৩ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের ম্যাচ। ৭ জুন ভারত এবং ১৫ জুন ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ।
দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলা হচ্ছে বিশ্বকাপ বাছাই। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচগুলোর খেলতে বিদেশে যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়। খেলোয়াড়রা জাতির কাছে তাদের লক্ষ্যের কথা জানাবেন। কাতারে গিয়ে কেমন পারফরম্যান্স করতে চান, কোচ কী পরিকল্পনা করছে, খেলোয়াড়রা কতটুকু প্রস্তুত, কাতার সফরে বাংলাদেশের ফুটবল কী পেতে পারে, বিমানে ওঠার আগে খেলোয়াড়দের কী অবস্থা? এসব নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকতেই পারে। সবই দেশের ফুটবল অনুরাগীদের জন্য। জাতি জানবে জামাল ভুঁইয়াদের কাছ থেকে। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ রাখা হয়নি। এ কেমন নিয়ম। করোনার মধ্যেও দেশের সবক্ষেত্রে সংবাদ সম্মেলন হচ্ছে। প্রয়োজনে এনএসসি টাওয়ারে অডিটোরিয়ামের বড় জায়গায় সংবাদ সম্মেলন করা যেত।
গতকাল জাতীয় দল গতকাল শেখ জামালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। সেই ম্যাচেও সংবাদ মাধ্যমকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ক্লোজড ডোর ম্যাচ আয়োজনের কথা বলে খেলোয়াড়দেরকে সংবাদ মাধ্যম হতে দূরে রাখা হলো। কী কারণে ক্লোজড ডোর ম্যাচ হলো বোঝা গেল না। ক্লোজড ডোর ম্যাচ কখন হয়? প্রতিপক্ষ দল যেন ম্যাচের কৌশল, পরিকল্পনাগুলো জানতে না পারে। কেউ যেন দলের ‘যুদ্ধ পরিকল্পনা’ ফাঁস না করতে পারে সে কারণে ফুটবল দুনিয়ায় ক্লোজড ডোর অনুশীলন হয়, ম্যাচও হয়।
কোচ জেমির পরিকল্পনা জানার জন্য কে অপেক্ষায় রয়েছে, ভারত-আফগানিস্তান-ওমান? তারা তো বিভিন্ন দেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিজেদের প্রস্তুত করা নিয়ে ব্যস্ত। জেমি কী করছে সেটা জানার আগ্রহ কি আছে প্রতিপক্ষ দলের? শেষ দিনের অনুশীলন এবং বিমানে ওঠার আগে চূড়ান্ত দল নিয়ে কথা বলবেন খেলোয়াড়রা, সংবাদমাধ্যম শুনবে এবং প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করতে পারেন। এটাই ফুটবল দুনিয়ার নিয়ম। মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী বললেন, ‘এটা টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়। হতে পারে করোনার কারণে সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে।’