সরকারকে ভোট দিয়েছি সরকার আমাকে দেখবে
\ ঝিনাইদহ অফিস \
বয়সের ভারে শরীরটা বেকে গেছে। চলতেও কষ্ট হচ্ছে। সন্তান নেই, বাবা-মা, স্বামী সবাই মারা গেছে। এই কুলে স্বজন বলতে ভাইয়েরা ছাড়া কেউই বেঁচে নেই। স্বাধীনতার পর থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে আসছেন। এবারো ভোট দিতে আসলেন। একা চলতে খুবই কষ্ট হয়। তাই আনসারদের (মহিলা সদস্য) সহযোগিতা নিয়ে ভোট দিয়েছেন। বলছিলাম শৈলকুপা উপজেলার ২নং মির্জাপুর ইউনিয়নের ২৮ নং মথুরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা মোছাঃ চকেলা খাতুনের কথা। তাকে সাহায্যের জন্য কেউই নেই। তবুও ভোট দিতে এসেছেন তিনি। জেলার ৪ টি সংসদীয় আসনের ৬ উপজেলার ৫৮৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বৃদ্ধা। নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ৪ টি আসন। তার পরও ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। সরোজমিনে দেখা যায়, বৃদ্ধা চকেলা খাতুন মথুরাপুর ভোট কেন্দ্রে আসছেন ভোট দিতে। দুর থেকে দেখা যায় কেন্দ্রের বাইরে থেকে মহিলা আনসার সদস্য তাঁকে হাত ধরে ভোট কক্ষে নিয়ে আসছে। ভোট দেওয়া হয়ে গেলে আবারও তাঁকে এগিয়ে দিয়ে আসেন। তার ভোটার তালিকা অনুযায়ী তিনি ১৯ জানুয়ারী ১৯৪৭ সালে শৈলকুপা উপজেলার যোগী পাড়াই জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কবির জোয়াদ্দার। জানা যায়, ঝিনাইদহ-১ ( শৈলকুপা উপজেলা) আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬ হাজার ৩৩৬টি। এরমধ্যে পুরুষ ভোটর ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৭টি, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৯টি। এই আসনে নতুন ভোটর ২৯ হাজার ৯৯৮ জন। আরো জানা যায় ঝিনাইদহে ৪টি আসনে প্রতিদ্বীদ্বতা করছেন মোট ২৬ জন প্রার্থী। নির্বাচনে ৫৮৫টি ভোটকেন্দ্রে ১৫ লাখ ১ হাজার ৪’শ ৮০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭০ জন, নারী ভোটার ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ জন ও হিজড়া ভোটার রয়েছে ১২ জন। ২ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের ২৮ নং মথুরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অসিম কুমার পদ্দার ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিবন্ধী ও বয়োবৃদ্ধরা আসছেন ভোট দিতে। তাদেরকে সহযোগিতা করতে আনসার সদস্যদের আগে থেকেই বলে দেওয়া হয়েছে। চকেলা খাতুন বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে। তাকে সহযোগিতা করা এটা আমাদের নিয়মের ভিতরেই পড়ে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের বলে দেওয়া হয়েছিল। এই আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩০১২ টি।