সহিংসতা হলে কঠোর হাতে দমন করবো: ওবায়দুল কাদের

Share Now..

সহিংসতা হলে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলন চালান। কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করবেন, মানুষের রুটি-রোজগারের বাধা দেবেন, হরতাল অবরোধের নামে অগ্নি সন্ত্রাস করবেন- এসব ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই।’

‘যুক্তরাষ্ট্র নিজে আগে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখাক’
সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজে আগে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখাক।’

একই সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের পাইকারিভাবে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‌‘কোনো দেশে অপরাধ করে শাস্তি হবে না! আমেরিকার (যুক্তরাষ্ট্র) কথায় আমরা ছেড়ে দেবো? এটা কোনো কথা! তাহলে ট্রাম্পের বিচার কেন হচ্ছে?’

‘বিএনপি হচ্ছে ডামি দল’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে এখন বিরোধী দল বিএনপি হচ্ছে ডামি দল, আর কোনো ডামি দলের দরকার নেই। তারা ডামি হয়ে গেছে। শোকে শোকে পাথর হয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের ঘুম নেই, সব আশা হারিয়ে ফেলেছে- সব হতাশায়।’

বিএনপির এখন আর কোনো আশা নেই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞাও নেই, ভিসা নীতিও নেই; আশায় আশায় দিন চলে যায়- রাত পোহায়; এই হলো বিএনপি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা আন্দোলন করবে, আবার সারা বাংলাদেশে উত্তাল আন্দোলন হবে, জনতার ঢল নামবে, এসব শুনে ঘোড়াও হাসে। এরা নিজেদেরকে নিজেরাই ভুয়া করে ফেলেছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন তো শেষ। নির্বাচন করেনি, কত বড় ভুল করেছে অচিরেই তারা সেটা টের পাবে।’

কালো পতাকা মিছিলকে ‘শোক পালনের কর্মসূচি’ আখ্যা
বিএনপির কালো পতাকা মিছিলকে ‘শোক পালনের কর্মসূচি’ আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা হলো শোক পালনের মিছিল। তারা নিজেরাই জাতিকে বলে দিচ্ছে যে, আমরা পরাজয় বরণ করেছি। সে জন্যই আমরা আজকে এই শোকের কালো পতাকা নিয়ে মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছি।’

আন্দোলনের নামে যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তরা জেলে আছে বলেও জানান তিনি।

একই সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির ২৫ হাজার নেতাকর্মী ট্রেনে আগুন দেওয়া, বাসে আগুন দেওয়া, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, ৩৪ সাংবাদিককে নির্যাতন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, জাজেস চেম্বারে হামলা, আনসার পিটিয়ে হত্যা- এসব অভিযোগে যারা অভিযুক্ত তারাই জেলে আছে। এখন তারা আইনগতভাবে মোকাবিলা করুক। এসব অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত নয়, আইনি প্রক্রিয়ায় তারা বের হয়ে যাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *